ফ্ল্যাপের লেখা:
জলবায়ু পরিবর্তন বিশ্বে একটি স্বীকৃত সত্য এবং দৃশ্যমান ঘটনা। জলবায়ুর প্রভাবে নিয়মিত বড় বন্যা হচ্ছে। কৃষির ক্ষতি হচ্ছে। নদীভাঙন বাড়ছে। উপকূলীয় মানুষ উদ্বাস্তু হয়ে শহরমুখী হচ্ছে। বরেন্দ্র অঞ্চলে পানি সংকট দেখা দিয়েছে। লবণাক্ত হচ্ছে কৃষিজমি। বায়ুদূষণ ও বজ্রপাত বাড়ছে। প্রতিনিয়ত বৈরী প্রকৃতির বিরুদ্ধে লড়াই করে বেঁচে আছে দেশের উপকূলের মানুষ।
বাংলাদেশ জলবায়ু পরিবর্তন কৌশল কর্মপরিকল্পনা ২০০৯ (বিসিসিএসএপি-২০০৯) চূড়ান্ত করে। উন্নয়নশীল দেশগুলোর মধ্যে বাংলাদেশ প্রথম সমন্বিত কর্মপরিকল্পনা গ্রহণ করে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিশেষ উদ্যোগে সরকারের নিজস্ব অর্থায়নে বাংলাদেশ জলবায়ু পরিবর্তন ট্রাস্ট ফান্ড’ (বিসিসিটিএফ) গঠন করা হয়। জলবায়ু পরিবর্তনে দায়ী শিল্পোন্নত দেশগুলোর আর্থিক সাহায্যের জন্য অপেক্ষা না করে নিজস্ব অর্থায়নে এ তহবিল গঠন করে সরকার।
মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় নেওয়া নানা উদ্যোগে জলবায়ু অভিযোজন বিষয়ে বাংলাদেশ এখন বিশ্ব উদাহরণ। জলবায়ু উদ্বাস্তুদের জন্য বিশ্বের সর্ববৃহৎ আশ্রয়ণ প্রকল্প করেছে বাংলাদেশ। দেশে ২৫টি মন্ত্রণালয় জলবায়ু প্রতিরোধে একসঙ্গে কাজ করছে।
জলবায়ুর প্রভাবে ক্ষতিগ্রস্ত দেশগুলোকে সহায়তার নামে ঋণ প্রদানের প্রস্তাবকে প্রত্যাখ্যান করে প্রধানমন্ত্রী বিশ্বসভায় স্বল্পোন্নত দেশগুলোর পক্ষে ক্ষতিপূরণ হিসেবে অর্থ প্রদানের দাবি তোলেন। জলবায়ু বিষয়ে যে কোনো সিদ্ধান্ত গ্রহণে বিশ্ব মোড়লরা প্রধানমন্ত্রীর মতামতকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে থাকেন। বিশ্ব জলবায়ু সম্মেলনে নেতৃত্বের আসনে থাকেন প্রধানমন্ত্রী।
গ্রিন হাউজ গ্যাস নিঃসরণ কমিয়ে বিশ্বকে বাসযোগ্য করতে উন্নত দেশগুলো যে নীতি গ্রহণ করেছে, বাংলাদেশ সে পথে হাঁটছে দ্রুত গতিতে। কার্বন নিঃসরণ কমাতে এরই মধ্যে জীবাশ্ম জ্বালানির ব্যবহার থেকে সরে আসতে কমিয়ে আনা হয়েছে কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ উৎপাদন।