সাতচল্লিশ পরবর্তী সময় থেকে বাংলা সাহিত্যের আলাদা একটি ভুবন তৈরি হয়েছে। সেই ভুূবনের স্রোতকে বহমান রাখার জন্য আমাদের তরুণ লেখকরা অনেক বেশি অগ্রগামী ভূমিকা পালন করছে। একবিংশ শতাব্দীতে আমরা এসে পৌঁছেছি। কিন্তু আমাদের সাহিত্যে কখনও চড়া পড়েনি। আমাদের তরুণরা সাহিত্যকে বেগবান রাখার জন্য নিজেরা সবসময় সচেষ্ট ছিলেন। আমি তাদের মধ্যে একজনকে জানি, যার নাম সাদিকুল নিয়োগী পন্নী। সে গল্প লিখে। ‘অদৃশ্য শ্রোতা’, ‘সন্ধ্যামালতি’ ও ‘এক সুতা জমি’ নামে তার তিনটি গল্পের বই রয়েছে।
‘এক সুতা জমি’ খুব সুন্দর নাম। গণজীবনের নানা কিছু নিয়ে তৈরী এ বইয়ের গল্প। এসব গল্প আমাদের সাহিত্যের উপাদানকে সমৃদ্ধ করছে। তার মধ্য দিয়ে আমাদের সাহিত্য স্রোতকে বহমান ধারায় এগিয়ে যাচ্ছে।
আমার এটা গভীর বিশ্বাস, আমাদের আগামী স্বাধীনতা ও বিজয় দিবস পূর্তির সময় আমাদের এ লেখকরা আমাদের সাহিত্যকে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে নিয়ে যেতে পারবে।
আমি মনে করি সাহিত্যের মাধ্যমে পন্নী তার নিজের জায়গাটি ধারণ করেছে। তাকে আমি সশ্রদ্ধ শুভেচ্ছা জানাই, ভালোবাসা জানাই।
সেলিনা হোসেন,
কথা সাহিত্যিক।