যার মন সত্যসন্ধানী সে পায় সঠিক পথের দিশা। বস্তুবাদ নিয়ে আধ্যাত্ববাদের ধারে কাছেও পৌঁছানো যায় না। জনাব রেজাউল কবীরের গীত পদের মধ্যে সেই আধ্যাত্ববাদের ছোঁয়াই লক্ষ করা যায়। তাই তো তিনি বলেছেন- ‘সত্য সুন্দর না চিনিয়াই/পেতে চাও খোদার দর্শন/সত্য পথে আছেন খোদা/ওরে আমার পাগল মন।’ বিষয়মোহের আকর্ষণকে ছিন্ন করে অতীন্দ্রিয় পরমতত্ত্বের যে ধারনা তিনি তার কাব্যে বর্ণনা করেছেন , তা বুঝতে হলে লাগবে সত্যসন্ধানী মন। সংগীত মহা জাগতিক ভাষা । গীতবাদ্যনৃত্যের মিলনই কবিদের এই গীত কাব্যকানন । সুফি সাধনার ধারা সর্বকালীন অখণ্ড এক মহাজাগতিক আবর্তনের লীলা ক্ষেত্র। বাংলায় লিখিতরূপে প্রাপ্ত প্রাচীন বৌদ্ধ সহায়িকা ‘চর্যাগীতিকা’কে সর্বসম্মতভাবে প্রাচীন আকর বলে প্রতিপন্ন করা হলেও এর আগেও অলিখিত অর্থাৎ গুরুগণের মুখে মুখে রচিত ও গীত পদাবলির যে ব্যাপক চর্চা ছিল, বৌদ্ধদোহা বা চর্যাপদ তারই উপজাত।