পরিচিত সরলরৈখিক জল-হাওয়ার বাইরে কবি অরিজিৎ চক্রবর্তীর কবিতা এক আদিম অনন্ত খোঁজ। যেখানে সময় একটা অন্ধ টানেলের মধ্যে দিয়ে হাঁটতে হাঁটতে অজান্তেই আলো হয়ে যায়। তারপর মাঠ পেরিয়ে দিঘি পেরিয়ে চেনা আকাশ পেরিয়ে সেই আলোকে ধারণ করে কবিতার চোখ। ধ্যানের গভীরে এ এক নিজস্ব চলন। শব্দের ইন্দ্রজাল নির্মাণগুণে পাঠককে বিস্মিত করে, আছন্ন করে অনাবিল ঘোর। কবিতা হয়ে ওঠে পাঠকের নিজস্ব আয়না। আর এখানেই কবি অরিজিৎ একটা নতুন সম্ভাবনার জিনম্যাপ তৈরি করেছেন যা অনেকটা হাইজেনবার্গের আনসারটিনিটি প্রিন্সিপালের মতো জীবনের কগনিটিভ স্তরে পৌঁছে উদ্ভাসিত, কবিতা হয়ে ওঠার সমস্ত জাগতিক মহাজাগতিক সীমা এবং তার একটা ভিস্যুয়াল। লার্জ-স্কেলে বিচার করলে ‘সামান্য বালকের কবিতা’ আসলে কবির বহুরৈখিক জীবনদর্শন।