কবি অজিত কুমার রায়ের এই কাব্যগ্রন্থটিতে মিস্টিসিজিমের উপস্থিতি দেখতে পাওয়া যায়।পরিচিত জগতের রূপ-রস-গন্ধ-স্পর্শে বিভোর সত্তা হঠাৎ করে কোথায় যেন যায় হারিয়ে বিস্তীর্ণ সৈকত ও কলমুখরতা থেকে দূরে অস্পষ্ট কোন দিগ বলয়ে ,তারও ওপারে অজানার অর্গল খুলে যেখানে নিগূঢ় ঘাস,লতা-পাতা,পথের পাশের চেনা গাছ,ফুল মধ্যে তার কাছে হয়ে উঠে জীবন্ত,প্রহরে প্রহরে রূপ বদল হয় ওদের,কখনও ভালোবাসার,কখনও অতীন্দ্রিয় বিভবঋদ্ধ হয়ে ওঠে তারা।দূর ও নিকটের সীমাহীন অন্তরঙ্গতা প্রকট তাঁর কবিতার ছত্রে ছত্রে ।আছে মানুষ ও প্রকৃতির নিবিড় বন্ধন।বৈচিত্রের আবহে কবি কখনও বিমুগ্ধ।বিস্ময়ের পর বিস্ময় সম্মোহিত করে রাখে তার রাত দিন।অনন্তের স্রোতে ভাসমান ময়ূরপঙ্খী হাতছানি দিয়ে ডাকে তাকে নিরন্তর।রূপের পসরা সাজিয়ে বসে থাকে লাবণ্যময়ী জগত-সংসার।নন্দনতত্ত্বে সমৃদ্ধ তাঁর গোটা কাব্যগ্রন্থ যা নিঃসন্দেহে কবিতাপিপাসুদের তৃষ্ণা নিবারণে সক্ষম হবে।