বঙ্গবন্ধু তাঁর ‘অসমাপ্ত আত্নজীবনী’তে ১৯৫৪ সাল পর্যন্ত যে জীবনকথা লিখে গেছেন-তা কেবল চমৎকারই নয় , বিস্ময়েরও । জনমানুষের সংগ্রামে এবং স্বাধীনতা অর্জনে তিনি তাঁর রাজনৈতিক চেতনার স্বকীয় বৈশিষ্ট্যে সমৃদ্ধ করে গেছেন যে জীবন তা এক বিপুল সম্ভার । ১৯৫৫ থেকে ১৯৭৫- এই কালপর্বের প্রতিটি দিনই ছিল কর্মমুখর । ধারাবাহিক সংগ্রাম , রাজনৈতিক গুণ ও কৌশল , স্বাধীনতা ঘোষণা থেকে সদ্য স্বাধীন দেশগঠন ও অর্থনৈতিক মুক্তিকে উপজীব্য করে তিনি হাত দিলেন দ্বিতীয় সংগ্রামে।
তাই ১৯৫৫-১৯৭৫ ছিল অনেক বেশি চ্যালেঞ্জ এবং ঘটনাবহুল । এই সময়ের অজস্র পত্রপত্রিকা , বঙ্গবন্ধুর রাজনৈতিক সহচরদের জীবনী ও স্মৃতিচারণমূলক তথ্যাদি তন্ন তন্ন করে খুঁজে এবং জাতির পিতাকে নিয়ে রচিত বিভিন্ন বইয়ের তথ্য-নিরীক্ষণ-পর্যবেক্ষণ করে রচিত হয়েছে ‘আমি মুজিব বলছি: অসমাপ্ত আত্নজীবনীর সমাপ্ত অধ্যায়’। বঙ্গবন্ধু রচিত ‘অসমাপ্ত আত্নজীবনী’ ও এই গ্রন্থের পরিপূরণে পাঠক খুঁজে পেতে পারেন মহানায়কের পূর্ণাঙ্গ জীবনলেখ্য । এমন গবেষণা বাংলা ভাষায় এই প্রথম ।