নন্দিনী প্রেমের উপন্যাস। এ প্রেম কল্পনার কোনো প্রেম নয়। বাস্তব ঘটনা। নারী পুরুষের সহজাত প্রেম। হিন্দু জমিদারের মেয়ের সাথে হতদরিদ্র এক মুসলিম যুবকের প্রেম। ঘটনাটি দু’শ বছরেরও আগের। এ দেশে তখন ইস্টইন্ডিয়া কোম্পানির শাসন। জমিদারি প্রথা প্রচলিত। বর্তমান বাংলাদেশের দক্ষিণাঞ্চলে এ সময় মহা-প্রতাপশালী এক জমিদার ছিলেন। জমিদারের নাম ছিল প্রশান্ত রায়। প্রশান্ত ছিলেন খুবই অত্যাচারী। তার মতো অত্যাচারী জমিদার পূর্ব বঙ্গে আর কেউ ছিল কিনা তা জানা নেই। জমিদারের অনিন্দ সুন্দরী এক কন্যা ছিল। কন্যার নাম ছিল নন্দিনী। প্রতিবেশি এক দরিদ্র মুসলমান ছেলের সাথে নন্দিনীর প্রেম হয়েছিল। ছেলেটির নাম ছিল মজনু। মজনুর মা-বাবা, ভাইবোন বা কোনো আত্মীয়-স্বজন ছিল না। সে ছিল পৃথিবীতে একা। অসম্ভব সুন্দর বাঁশি বাজাতো সে। তার বাঁশির সুরে পাগল হয়ে নন্দিনী তাকে ভালোবেসে ছিল। এ ভালোবাসা গভীর প্রেমে রূপ নেয়।