রইস মুকুল অনেক দিন লিখছেন। পাঠক পরিচিতি আছে তার বড় একটা জায়গা জুড়ে। সে জায়গাটা এমনি এমনিই নয় শ্রমলব্ধ অর্জন। তার কবিতা কেমন? তার কবিতার শুরু থেকেই কখনও এক রকম থাকেনি, নানা রকম! কেন নানা রকম? এ প্রশ্নের পেছনে দাঁড়ালে সামনে এসে দাঁড়িয়ে যায় তার কবিতা, সমান্তরালে দাঁড়ায় এসে তার যাপনের পথ চলা, তার কবিতার পথ চলা। কবির এহেন পথচলাকে চিনতে না পারলে তার কবিতার বিচিত্রতাকে চিনতে পারা একটু দুরূহ বৈকি। শৈশব উত্তীর্ণ হতে হতেই কবি সমাজবদলের রাজনীতির হাতছানিতে সারা দিয়েছেন, সমসাময়িক রাজনীতিবিমুখতার বিরুদ্ধেও তাকে লড়তে হয়েছে। সেই সাথে মানুষের ও রাজনীতির যে মূল প্রেরণা প্রেম তাকে তাড়িত করেছে। প্রেম ও যৌনতার যে সহঅবস্থান তা তিনি লুকাতে চাননি। তাই তার কবিতায় থাকে প্রেম, যৌনতা, রাজনীতি, আর রাজনীতির কারণেই ইতিহাস ও প্রত্ন-ইতিহাস চেতনা। এসব মিলেমিশে, বিপরীতভাবে বললে এসব ভেঙেচূরেই তার কবিতারা সামনে চলতে থাকে। রইস মুকুল জানে ভেঙে ভেঙেই এগুতে হয়। এগুতে এগুতেই মিলতে হয় নতুনের সাথে।
কবি এক অবিরাম পথিক। অদৃশ্য ইঁদুর এবং ধর্ম্মপালের পদাতিক সেনা বইটিতেও বরাবরের মতই নিজেকে আবার ভেঙেছেন, স্পষ্ট বুঝা যায়।