প্রথম ফ্ল্যাপের লেখাঃ
জনগণের জীবনানুভূতি ও চিন্তার বর্ণিল রেখায় নির্মিত সৌন্দর্য ও উপলব্ধির মালিকা ফোকলোরের উপাদানগুলিতে বিধৃত হয় স্বাভাবিকভাবে। বাংলাদেশের আমনাগরিকের স্বাভাবিক এই মানসকাঠামোকে পূর্ণাঙ্গভাবে খনন করা সম্ভব বিশ্লেষণাত্মক ফোকলোর গবেষণার মাধ্যমে। জীবনচর্যা ও মানসচর্চার যেসব উপাদান ফোকলোরে বিধৃত, তার সঙ্গে নৃবিজ্ঞান, সমাজবিজ্ঞান, অর্থনীতি, ইতিহাস, সাহিত্য ও মনোবিজ্ঞানের সম্পর্ক নিবিড়। নিবিড়তা বিশ্লেষণের জন্য ফোকলোর গবেষণার ক্ষেত্রে বিজ্ঞাননির্ভর অনুশীলন প্রয়োজন। বিশ্লেষণাত্মক গবেষণার এই প্রক্রিয়া পাশ্চাত্যের দেশগুলিতে কয়েক শতক আগ থেকেই চলছে। অগ্রজ গবেষকগণ আমাদের ফোকলোরের উপাদানগুলির সঙ্গে তা মেলানোর চেষ্টাও করেছেন। এই গবেষণায় তারই ধারাবাহিকতা রক্ষার চেষ্টা আছে। ফোকলোর গবেষণায় পাশ্চাত্যে অনুসৃত পদ্ধতিগুলির সংক্ষিপ্ত উপস্থাপন ও ছড়া, ধাঁধা, প্রবাদ, লোকসংগীত, লোককথায় ঐতিহাসিক ভৌগোলিক পদ্ধতি, ঐতিহাসিক বস্তুবাদী পদ্ধতি, নৃতাত্ত্বিক পদ্ধতি ও মনঃসমীক্ষণ পদ্ধতি প্রয়োগের মধ্যে এই গবেষণার পরিসর সীমাবদ্ধ।