বিংশ শতাব্দীর অন্যতম সেরা কথাসাহিত্যিক না ইয়া (ব্রায়াল্ড ডাল(ক। তিনি ছিলেন নরওয়েজিয়ান বংশােদ্ভূত একজন ব্রিটিশ ঔপন্যাসিক, ফ্লোট গল্প লেখক এবং চিত্রনাট্যকার। শিশু ও বড়দের উভয় পাঠক(দৰ (Pখক হিসেবে তিনি বিখ্যাত। বিশ্বের সবচেয়ে বিক্রি হওয়া লেখকদের একজন। তিনি ।
ওয়েলসের কার্ডিফে বসবাসকারী নরওয়েজিন মা-বাবার সংসারে ১৯১৬ সালের ১৩ সেপ্টেম্বর রােয়াল্ড ডাল জন্ম নেন। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় তিনি জন্মভূমি ইংল্যান্ডের পক্ষে রয়াল এয়ারফোর্সে পাইলটের দায়িত্ব পালন করেন । মূলত ১৯৪০ সালের পর থেকে সাহিত্য জগতে তার খ্যাতি লাভের সূচনা হয়।
বিখ্যাত লেখক সি এস ফরেস্টারের মাধ্যমে প্রভাবিত হয়ে ডালের প্রথম প্রকাশিত গল্প হল, শট ডাউন ওভার লিবিয়া । গল্পটি পরে ‘এ পিস অব কেক নামে প্রকাশিত হয়। গল্পটিতে ডাল তার যুদ্ধকালীন দুঃসাহসিক কাজ সম্পর্কে স্যাটারডে ইভনিং পােস্টে লিখে ৯০০ ডলার পেয়েছিলেন। লেখাটি প্রকাশিত হবার পরে লেখক হবার স্বপ্ন দেখতে শুরু করেন ডাল । তার প্রথম শিশুতােষ বই ছিল দ্য গ্রেমলিনস । দুষ্ট ছােট প্রাণীদের সম্পর্কে লােককাহিনী ছিল বইয়ের বিষয়বস্তু। বিংশ শতাব্দীর জনপ্রিয় ছােটদের বই যেমন চার্লি অ্যান্ড দ্য চকোলেট ফ্যাক্টরি, মাতিন্ডা এবং জেমস এবং জায়ান্ট পীচ লিখেছেন তিনি। রােয়ান্ড ডাল বড়দের লেখক হিসেবেও সমান সফল ছিলেন। সাধারণত হাস্যরস, মানুষের জীবনের অন্ধকার অনুভূতি এবং আশ্চর্য সমাপ্তির জন্য তিনি বিখ্যাত। বড়দের জন্য লেখা প্রথম বই ‘ওভার টু ইউ’ প্রকাশিত হয় ১৯৪৬ সালে। বইটিতে ভিন্নস্বাদের ১০টি অপ্রচলিত ছােটো গল্প স্থান পায়। বিশ্বযুদ্ধে রয়্যাল এয়ারফোর্সের পাইলট হিসেবে দায়িত্ব পালনের অভিজ্ঞতার ওপর ভিত্তি করে লেখা হয়েছে বইয়ের গল্পগুলাে।
১৯৫৪ সালে প্রকাশিত হয় তাঁর কিস কিস’ বইটি। ১৯৬০ সালে আসে ছােট গল্পের বই “সামওয়ান লাইক ইউ’। রােয়াল্ড ডালের অনেক বিখ্যাত গল্প নিয়েই চলচ্চিত্র নির্মিত হয়েছে। সেগুলাে দর্শকের মনে দাগ কাটতে সক্ষম হয়েছে। এখন অবধি সারা পৃথিবীতে তাঁর বই ২৫০ মিলিয়ন কপি বিক্রি হয়েছে।
তাঁর অনেকগুলি গল্প লেডিস হােম জার্নাল, হার্পারস, প্লেবয় এবং দ্য নিউ ইয়র্কারের মতাে আমেরিকান ম্যাগাজিনে প্রকাশিত হয় এবং বিশ্বব্যাপী প্রশংসা অর্জন করে। ডাল ৬০টিরও বেশি ছােট গল্প লিখেছেন, কিছু গল্প তাঁর মৃত্যুর পরে বই আকারে প্রকাশিত হয়েছে। অসামান্য সব সাহিত্যকর্মকে পেছনে রেখে ১৯৯০ সালের ২৩ নভেম্বর রােয়াল্ড ডাল পৃথিবী ছেড়ে বিদায় নেন।