‘গুপ্তধন’ আর দশটা উপন্যাস থেকে সম্পূর্ণ ভিন্ন ধরনের উপন্যাস। শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত রহস্যে ঘেরা এই উপন্যাসের কেন্দ্রীয় চরিত্রে রয়েছে এক সাহসী প্রবাসী বাঙালি তরুণী। এই সাহসী তরুণী একের পর এক রহস্য ভেদ করে জমিদার বাড়ির লুকানাে গুপ্তধন উদ্ধার করে একদিকে যেমন সবাইকে তাক লাগিয়ে দেয়, অন্যদিকে এই গুপ্তধনকে কেন্দ্র করে একটি অশুভ চক্রের চক্রান্ত নস্যাৎ করে গুপ্তধনের প্রকৃত মালিকদের হাতে তা তুলে দেয়। শুধু তাই নয় অশুভ চক্রের হাতে বন্দি মালিক ও তার সহযােগীদের উদ্ধার করে এক অসামান্য কৃতিত্ব প্রদর্শন করে। যা এদেশের তরুণ-তরুণীদের জন্য সাহস ও প্রেরণা জোগানাের জন্য যথেষ্ট। সেই সাথে আধুনিক জ্ঞান-বিজ্ঞান অর্জন ও তার যথাযথ ব্যবহার বা প্রয়ােগ এখন সময়ের দাবি। ঔপন্যাসিক রওনাক হান্নান আঁখি এ বিষয়টিও দক্ষতার সঙ্গে তুলে ধরেছেন তার ‘গুপ্তধন’-এ।