পাকিস্তানি শাসকদের সৃষ্ট যে কোনো বাধা জয় করায় দৃঢ়সংকল্প ছিলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। অপপ্রচার, হয়রানি, জেল এমনকি ফাঁসির হুমকি তাকে দমাতে পারেনি। ভয় তাকে ছুঁতে পারেনি। লোভ-প্রলোভন জয় করেছেন আবলীলায়। ১৯৭১ সালের ৭ মার্চ রেসকোর্স ময়দানে কত সহজেই না উচ্চারণ তাঁর-আমি প্রধানম্ত্রীত্ব চাই না, বাংলার মানুষের কাছেই তিনি একেবারে মাটির মানুষ। ঘরের লোক। তাঁর অমিত তেজ ও শক্তি-সাহসের উৎস এই মানুষ। তাদের মুখে হাসি ফোটানোর জন্য জীবন নিবেদিত। বঙ্গমাতা কত বার যে কারাগার “দেখেছেন” হিসাব রাখা কঠিন। কিন্তু তিনি সাহসী, নির্ভীক। ১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধের সময় বঙ্গবন্ধু শত্রুরাষ্ট্র পাকিস্তানের কারাগারে বন্দি। মুক্তিবাহিনী লড়ছে ‘দেশকে মুক্ত করার জন্য।’ তিনিও পুত্র-কন্যাসহ গৃহবন্দি। এর মধ্যেই পাহারায় থাকা ভয়ঙ্কর পাকিস্তানি সৈন্যদের ফাঁকি দিয়ে দুই পুত্রকে পাঠালেন রণাঙ্গনে।
বঙ্গবন্ধু ও বঙ্গমাতার কন্যা শেখ হাসিনাও তো এমন অদম্যই!
এ সবই করোনাকালের লেখাগুলোর বিষয়বস্তু। একাধিক লেখায় কোনো কোন ঘটনার পুনরাবৃত্তি থাকলেও এসেছে প্রসঙ্গক্রমে, পাঠকদের তা বিরক্তির কারণ হওয়ার কথা নয়।