“সে ফিরে আসতে চেয়েছিলো” বইয়ের ফ্ল্যাপের লেখা:
জীবন ও জীবিকার তাগিদে একদিন বিনা টিকিটেই ঢাকার ট্রেনে উঠে পড়েছিলাে জাহেরুল। পেছনে ফেলে এসেছিলাে প্রায়-অন্ধ মা এবং প্রেয়সী সােহানাকে। মহানগরের বিশাল জনস্রোতে হারিয়ে যাওয়া জাহেরুল একদিন নিজের অস্তিত্বটুকুও হারিয়ে ফেলে। নাগরিক জটিলতা ও নিষ্ঠুরতায় পিষ্ট হয়ে তার কাছে জীবনের অর্থটাই অন্যরকম হয়ে ওঠে। এক টুকরাে আলোর আশায় ছুটে চলা জাহেরুলের গতি থেমে যায় পুলিশের ভুলে। বেঁচে থাকার সমস্ত স্বপ্ন ধূলিসাত হয়ে তার ঠাই হয় জেলখানায়। মা, সােহানা ও পরিচিত সবার কাছেই নিখোঁজ জাহেরুল। পরিবারের চাপে নিরূপায় সােহানা বিয়েতে রাজি হয়। কার জন্যই বা অপেক্ষা করে থাকবে সে? একদিন খবর রটে যায় পার্বতীপুর স্টেশনের পাশে একজনের ট্রেনে কাটা লাশ পাওয়া গেছে। সেটা কী জাহেরুলের লাশ? তাহলে স্বামীকে নিয়ে সিনেমা দেখতে যাওয়ার পথে যার রিকশায় উঠেছিলাে সে কে? কেনই বা তাকে দেখে কান্নায় ভেঙে পড়েছিলাে সােহানা?