মানুষের আদি উৎস

৳ 220.00

লেখক ড. মরিস বুকাইলি
প্রকাশক জ্ঞানকোষ প্রকাশনী
আইএসবিএন
(ISBN)
9848485015
ভাষা বাংলা
পৃষ্ঠার সংখ্যা ২২৪
সংস্কার Reprint, 2020
দেশ বাংলাদেশ

“মানুষের আদি উৎস”বইটির প্রথমের কিছু কথা:
“কোথা থেকে এলাম আমি”—এ জিজ্ঞাসা মানুষের আজকের নয়; বরং হাজার হাজার বছরের। এ যাবত মানুষ এ প্রশ্নের জবাব হিসাবে যে ধারণা গড়ে তুলেছিল—তার উৎস ছিল শুধুমাত্র ধর্মীয় শিক্ষা আর দার্শনিক ব্যাখ্যা ও বিশ্লেষণ। কিন্তু একান্ত হালে আধুনিক যুগে এসে মানুষ তার নাগালের মধ্যে। পেয়ে গেছে এমন সব তথ্য ও পরিসংখ্যান—যার দরুন মানুষ তার অরিজিন বা আদি উৎসের সমস্যা মােকাবিলায় নতুন দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে এগিয়ে যেতে পারছে।
আজ আমরা এমন এক আধুনিক যুগে বসবাস করছি-যে যুগটা হচ্ছে যুক্তির যুগ এবং বিজ্ঞানের নবনব আবিষ্কারের যুগ। শুধু তাই নয়, এই পর্যায়ে এসে এমন দাবি করাও আজ সম্ভব হচ্ছে যে, মানুষের বুদ্ধিমত্তা যে প্রশ্নই উত্থাপন করুক না কেন এবং সে সব প্রশ্ন যত কঠিন ও যত জটিলই হােক না কেন, আধুনিক যুগের এইসব তথ্য ও যুক্তি, জ্ঞান ও বিজ্ঞানের এবংবিধ আবিষ্কার-উদ্ভাবনের সহায়তায় সে সব জিজ্ঞাসার জওয়াব প্রদান সম্ভব।
এ ব্যাপারে প্রথমেই আসে পৃথিবীতে মানুষের আবির্ভাবের কথা। বলা হচ্ছে, আধুনিক সেকুলার জ্ঞান-বিজ্ঞান মানুষের অরিজিন বা আদি উৎস সম্পর্কেও সঠিক ও চূড়ান্ত ধারণা প্রদানে সক্ষম। উদাহরণ হিসাবে ডারউইনের “অন দি অরিজিন অব স্পেসিস” গ্রন্থটির কথা বলা হয়। এটি প্রকাশিত হয়েছিল ১৮৬৯ সালে, ইংল্যান্ডে। সেই সময় থেকে শুরু করে পরবর্তী বহুকাল ধরে এই পুস্তকে বর্ণিত থিওরিকেই মানুষের আদি উৎস-সংক্রান্ত যাবতীয় জিজ্ঞাসার। মােক্ষম জওয়াব হিসাবে গণ্য করে আসা হচ্ছে এবং আধুনিক মানুষ নির্বিবাদে তা মেনেও নিয়েছে।

ড. মরিস বুকাইলি ১৯২০ সালের ১৯ জুলাই ফ্রান্সে জন্মগ্রহণ করেন। পেশায় তিনি একজন চিকিৎসক। ফ্রেঞ্চ সোসাইটি অব ইজিপ্টোলজির (মিশরত্ত্ব) সদস্য এই চিকিৎসক একজন গ্যাস্ট্রোএন্টারোলজি বিশেষজ্ঞও ছিলেন। বিশ্বজুড়ে তিনি একজন প্রসিদ্ধ চিকিৎসক হিসেবে খ্যাতি অর্জন করেছেন। তিনি সৌদি বাদশা ফয়সাল বিন আব্দুল আজিজের পারিবারিক চিকিৎসক হিসেবে নিযুক্ত হন ১৯৭৩ সালে। মিশরের তৎকালীন প্রেসিডেন্ট আনোয়ার সাদাত ও তাঁর পরিবারের সদস্যরাও ড. বুকাইলির কাছে চিকিৎসাসেবা নিয়েছেন। তিনি মেডিসিন চর্চা করেছেন ১৯৪৫ সাল থেকে ১৯৮২ সাল পর্যন্ত। তবে তাঁর কর্মজীবন শুধু চিকিৎসা জগতেই সীমাবদ্ধ নয়, নাম কুড়িয়েছেন একজন প্রসিদ্ধ গবেষক হিসেবেও। মরিস বুকাইলি ধর্ম ও বিজ্ঞানের মাঝে বিদ্যমান সম্পর্কের একজন একনিষ্ঠ গবেষক ছিলেন। তাঁর গবেষণার মূল বিষয়বস্তু ছিল ধর্ম, বিশেষত ইসলাম এবং আধুনিক বিজ্ঞানের মাঝে বিদ্যমান সম্পর্কগুলোর বাস্তবধর্মী বিশ্লেষণ। এই গবেষণা চলাকালে তিনি বিংশ শতাব্দীতে আবিষ্কৃত বেশ কিছু বৈজ্ঞানিক মতবাদ ও পদ্ধতির সাথে কোরআনে উল্লেখিত বক্তব্যের সাদৃশ্য দেখতে পান। অতঃপর প্রকাশিত হয় মরিস বুকাইলির বই ‘বাইবেল, কুরআন এন্ড সায়েন্স’। এই বইয়ে তিনি দেখান যে, কোরআন একটি ঐশ্বরিক গ্রন্থ, যাতে বৈজ্ঞানিকভাবে সঠিক তথ্য রয়েছে। এই মতবাদ থেকে জন্ম নেয় ‘বুকাইলিজম’ বা বুকাইলিবাদ। ড. মরিস বুকাইলি এর বই সমগ্র বিশ্বব্যাপী সাধারণ পাঠক ও গবেষকদের কাছে বেশ জনপ্রিয়তা লাভ করেছে। ১৯৭৬ সালে প্রকাশিত ‘বাইবেল, কুরআন এন্ড সায়েন্স’ বিশ্বের প্রায় ১৭টি ভাষায় অনূদিত হয়েছে। আরো প্রকাশিত ড.

মরিস বুকাইলি এর বই সমূহ হলো ‘দ্য কুরআন এন্ড মডার্ন সায়েন্স’, ‘হোয়াট ইজ দ্য অরিজিন অব ম্যান’, ‘মাম্মিজ এন্ড ফারাওজ: মডার্ন মেডিকেল ইনভেস্টিগেশনস’ ইত্যাদি। মরিস বুকাইলির রচিত বইগুলোর বেশিরভাগই ফরাসি ভাষায় লেখা, তবে ইংরেজিতেও তাঁর রচনা আছে। প্রখ্যাত এই লেখক, গবেষক ও চিকিৎসক ১৯৯৮ সালের ১৭ ফেব্রুয়ারি পরলোকগমন করেন।


লেখক সম্পর্কে বিস্তারিত পড়ুন →
বই সম্পর্কে কোন জিজ্ঞাসা বা মতামত থাকলে আমাদেরকে জানান
শেয়ার করুন

লেখকের অন্য বইসমূহ

প্রকাশকের অন্য বইসমূহ