অনিন্দ্য চৈতন্য

৳ 200.00

লেখক কায়সুল হক
প্রকাশক অনিন্দ্য প্রকাশ
আইএসবিএন
(ISBN)
9847008200466
ভাষা বাংলা
সংস্কার 1st, 2008
দেশ বাংলাদেশ

ফ্ল্যাপে লিখা কথা
আধুনিক বাংলাসাহিত্যের শাশ্বত রূপ এবং তার স্রষ্টাকুলের শৈল্পিক অভিলক্ষ্য গ্রন্থভুক্ত সাঁইত্রিশটি প্রবন্ধকে একসূত্রে গ্রথিত করেছে। নির্মাণশৈলীর অনন্যতা এবং ক্রমান্বয়ে ‘তিমির-বিদার উদার অভ্যুদয়’ রবীন্দ্রনাথ, নজরুল, সঞ্জয় ভট্টাচার্য হয়ে এসে ঠেকেছে আমাদের গৌরব ‘শুভ্র সমুজ্জ্বল শামসুর রাহমান’-এ। অন্তবর্তী অবস্থানে ঠাঁই করে নিয়েছেন হুমায়ুন কবির, রশীদ করিম, সিকদার আমিনুল কবির, রশীদ করিম, সিকদার আমিনুল হক, আবুল আহসান চৌধুরী প্রমুখ যশশ্বান সাহিত্যপ্রতিভা এবং তাঁদের আলোকবিচ্ছুরণ। দার্শনিক হিসেবে ইকবাল যেভাবে অবস্থান লাভ করেছেন, বাংলার নবজাগরণের দিশারী হিসেবে বিদ্যাসাগরও তেমনি স্বাতন্ত্র্য দীপ্যমান। এতসব থেকে আপন হয়ে এসেছে ৩৬শে মার্চ এবং তার সঙ্গে স্বমহিমায় ভাস্বর ‘আমাদের নববর্ষ’। ‘সংবাদপত্রের দৌত্য’ এবং ‘বাংলা কবিতার বৈজয়িক বৈজয়ন্তী তাঁর হাতে’ কোনটাই আলোচনা থেকে বাদ পড়েনি। কায়সুল হকের কাছে সব থেকে আপনার ‘শামসুর রাহমান : সাহস ও সততার প্রতিকৃতি’ রূপে।

জন্ম : ২৯ মার্চ ১৯৩৩ কায়সুল হক পঞ্চাশের দশকের কবি এবং কবিতায় বিশেষ অবদানের জন্য ২০০১ সালে বাংলা একাডেমী তাকে সাহিত্য পুরস্কারে ভূষিত করে। তিনি ২০০০ সালে ‘ড, আসাদুজ্জামান সাহিত্য পুরস্কার’ লাভ করেন। তাঁর প্রকাশিত কাব্যগ্রন্থ : শব্দের সাঁকো ও ‘রবীন্দ্রনাতের নিরুপম বাগান। এবং প্রবন্ধ গ্রন্থ ‘স্বদেশ, সংস্কৃতি ও রবীন্দ্রনাথ’ ও ‘আলাের দিকে যাত্রা'। তাঁর সঙ্গে জীবনানন্দ দাশ, বুদ্ধদেব বসু, অন্নদাশঙ্কর রায়, নরেশ গুহ, আশরাফ সিদ্দিকী, আবদুর রশীদ খান, শামসুর রাহমান ও সুরজিৎ দাশ গুপ্তর পত্র বিনিময় হত। ইতিমধ্যে অনেকের পত্র বিভিন্ন পত্রিকায় মুদ্রিত হয়েছে। “তাঁরই কথা দিয়ে বলতে হয়, যেহেতু মানুষকে ভালবাসি, ভালবাসি এই পৃথিবী আর ভালবাসি নিজেকে। এই বিশ্বাসবােধের উপর কায়সুল হক কবিতা লিখতে শুরু করেছেন। সমস্ত মানুষের সুখ-দুঃখ থেকে নিজের সুখদুঃখকে আলাদা করে নয় একসঙ্গে বেদনার কথা সহজাত জীবন দিয়ে উপলব্ধি করেছেন এবং এই চেতনার মধ্য দিয়েই মানুষ মানুষের হৃদয়ের দরজায় গিয়ে কড়া নাড়ে। যেখানে অনুভব ধ্বনি হয়ে ওঠে সেখানেই কায়সুল হকের কবিতা।” -এই কথাগুলাে বলা হয়েছে ১৯৭০ সালে কলকাতা থেকে প্রকাশিত “স্বনির্বাচিত কবিতা সংগ্রহে। উক্ত কাব্যসংগ্রহে সাংস্কৃতিক অগ্রগতিতে কবির ভূমিকা সম্পর্কে তিনি বলেছেন : “যেহেতু কবিতা হৃদয় ও মননের যুগ্ম শিল্পধ্যান; অর্থাৎ বুদ্ধির সঙ্গে বােধির সমন্বয় সাধনই কবিতার কাজ। আর তাই কবিতাকে আমি মানববসনের শ্রেষ্ঠ ফসল হিসেবে চিহ্নিত করতে চাই। কবিতা পাঠকের মূল্যচেতনা বৃদ্ধিতে সাহায্য করে এবং সংস্কৃতি' যদি হয় মানবমনের উৎকর্ষের পরিচায়ক তাহলে কবির ভূমিকা। সেখানে মুখ্য। মানবমনের উৎকর্ষের কথা বলেছেন কায়সুল হক। আর তাই প্রবন্ধ রচনার সময় তিনি সজাগ মনের পরিচয় বিধৃত রাকার কথা বিস্মৃত হন না। প্রবন্ধ পাঠকের মনের জাগরণ ঘটাবে-এটাই তিনি মনে রাখেন। তাঁর প্রবন্ধ পাঠককে পড়তে প্রলুব্ধ করে। যুক্তিনিষ্ঠ মন তৈরি করার প্রণােদন।।


লেখক সম্পর্কে বিস্তারিত পড়ুন →
বই সম্পর্কে কোন জিজ্ঞাসা বা মতামত থাকলে আমাদেরকে জানান
শেয়ার করুন

লেখকের অন্য বইসমূহ

প্রকাশকের অন্য বইসমূহ