“প্রজাপতি” বইটির ফ্ল্যাপ এর লেখাঃ
পাঠকের নৈতিক চরিত্রকে কোনওভাবেই কুলষিত করবে না এ-বই বা এ-উপন্যাস পড়ে তারা দুর্নীতিগ্রস্ত হয়ে উঠবেন না। প্রায় একই কথা বলেছিলেন কবিসমালােচক বুদ্ধদেব বসুও। চিফ প্রেসিডেন্সি ম্যাজিষ্ট্রেটের আদালতে চাঞ্চল্যকর ‘প্রজাপতি’-মামলায় অভিযুক্ত পক্ষের সাক্ষী হিসেবে কাঠগড়ায় দাঁড়িয়ে বুদ্ধদেব বসু এক প্রশ্নের উত্তরে স্পষ্ট ভাষায় জানিয়েছিলেন, দুর্নীতিপরায়ণ করে তােলার বদলে এ-বই পাঠকের মনে সহানুভূতির উদ্রেক করবে। ‘প্রজাপতি’র ভাষা সম্পর্কে বলতে গিয়ে বুদ্ধদেব বসুর দৃঢ় মন্তব্য, এর ভাষা অশ্লীল নয়। তাঁর কথায়, “এই বইয়ের নায়ক বা অ-নায়ক সমসাময়িক পশ্চিমবঙ্গের রকবাজ ছেলেদের টাইপ। এরা আমাদের সকলেরই পরিচিত এই যুবকেরা সাধারণত যে-সব ভাষায় কথা বলে, সেই ভাষাতেই এই উপন্যাস। লেখা। এই বইতে এত বেশি স্ল্যাং’ ব্যবহারের এটাই যৌক্তিকতা। এই স্টাইল জীবন্ত এবং জীবনের অবিকল প্রতিচ্ছবি। এখানেই এ-উপন্যাসের সাফল্য।’ বুদ্ধদেব বসু আরও বলেছিলেন, হয়ত এ-ভাষা সাহিত্যে বেশি ব্যবহৃত হয়নি। কিন্তু এ-ভাষা এখন ব্যাপকভাবে চালু। লেখক এই ভাষা ব্যবহার করে সাহিত্যের শ্রীবৃদ্ধিই ঘটিয়েছেন।