ফ্ল্যাপে লিখা কথা
যায়নিজম বা ইহুদিবাদের জন্মদাতার কথা দিয়ে শুরু হলেও এই বইয়ের সুবিস্তৃত ক্যানভাসে এসেছে পৃথিবীজুড়ে ধর্মান্ধতা ও মৌলবাদের পটভূমির একদম গোড়ার কথা। সেমিটিক মানবগোষ্ঠীর ধর্মান্ধতা এসেছে বারবার ঘুরে ফিরে। আর্য মানবগোষ্ঠীর ধমান্ধতা তথা ব্রাহ্মণ্যবাদের একদম গোড়ায় যাওয়ার চেষ্টা করেছেন লেখক, যার সূত্রপাত বেদ- এ এবং যার সৃষ্টি এই ভারত ভূমিতেই খ্রিষ্টজন্মের দেড় হাজার বছর আগে।
এখান থেকে লেখকের ক্যানভাসের বিস্তৃতি ঘটেছে ঊনবিংশ শতাব্দীর প্রায় মাঝ বরাবর আরব উপদ্বীপে-যেখানে মোহাম্মদ ইবনে আবদুল ওয়াহাব বিশুদ্ধ ইসলাম প্রতিষ্ঠার নামে ইসলামি মৌলবাদের উত্থান ঘটান। সহযোগী হিসেবে পেয়ে যান নেজদ এর আমির মোহাম্মদ ইবনে আবদাল আজিজ ইবনে সৌদকে। বিশুদ্ধ ইসলাম প্রতিষ্ঠায় ইবনে ওয়াহাব ও ইবনে সৌদ তুলনারহিত নির্মমতায় যে হত্যাযজ্ঞ চালান, তা লেখক তুলে এনেছেন তাঁর কলমে। এসেছে ইসরাইল রাষ্ট্র সৃষ্টি উপাখ্যানও।
ধর্মান্ধ তালেবানদের অনুসরণে বাংলাদেশকে ইসলামি রাষ্ট্র করার লক্ষে যেসব ইসলামি জঙ্গী সংগঠন হত্যাযজ্ঞ চালায় বইতে তাদের কথাও এসে গেছে আপনা-আপনি।
এ বইতে লেখক মৌলবাদের স্বরূপ এবং তা কিভাবে ডালপালা বিস্তার করে সভ্যতাকে হাজার বছর পেছনে নিয়ে যেতে চায়-সেটাই উপস্থাপন করার চেষ্টা করেছেন। এই প্রচেষ্টায় তিনি ইতিহাস নির্দেশিত পথেই হেঁটেছেন। সে পথ থেকে সরে আসেননি ইঞ্চি পরিমাণও। বহুল তথ্যসমৃদ্ধ বইটি পাঠকমহলে সমাদৃত হবে বলে আমাদের বিশ্বাস।