১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে বাংলাদেশের স্বাধীনতা অর্জন বাঙালির জাতীয় জীবনে সবচেয়ে বড় গৌরবোজ্জ্বল ঐতিহাসিক ঘটনা। সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে ১৯৭০ সালের নির্বাচনে বাঙালিরা পাকিস্তানের রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় যাওয়ার অধিকার লাভ করে। জনগণের রায়কে বানচাল করার ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবে ইয়াহিয়া খান প্রথমে তৎকালীন পাকিস্তান জাতীয় পরিষদের অধিবেশন স্থগিত করেন। পরবর্তীতে বঙ্গবন্ধুর সাথে আলোচনার নামে সময় ক্ষেপণ করে ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ দিবাগত রাতে শুরু করে নির্বিচার গণহত্যা। প্রথম প্রহরে ঢাকা শহরে শুরু হয় পাকিস্তানি বর্বর সেনাদের হত্যাযজ্ঞ। পিলখানার ইপিআর, রাজারবাগ পুলিশ লাইন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক এলাকা, ছাত্রাবাসসহ বিভিন্ন স্থানে চলে এ গণহত্যা। পরবর্তীতে তা ছড়িয়ে পড়ে দেশময়। একাত্তরের বধ্যভূমি গ্রন্থের সম্পাদক মোঃ জয়নাল আবেদীন মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ে একাধিক গ্রন্থ লিখেছেন। ‘মুক্তিযুদ্ধে বিক্রমপুর’ বইটিতে রাজাকার ও শান্তি কমিটির সদস্যদের তালিকা দিয়ে তিনি সাহসিকতার পরিচয় দিয়েছেন। বর্তমান বইটি তাঁর সম্পাদিত। তথ্য-উপাত্ত নিজে কিছু সংগ্রহ করেছেন বেশিরভাগ তথ্য নিয়েছেন দৈনিক পত্রিকা থেকে। ৩০ লাখ বাঙালির জীবন ও ২ লাখ মা-বোনের সম্ভ্রমের বিনিময়ে অর্জিত হয়েছে বাংলাদেশ। বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের প্রকৃত ইতিহাস লিখতে পাকিস্তানি বর্বর সেনাবাহিনী ও তাদের এ দেশীয় দোসর আলবদর, রাজাকার ও আল শামস্ বাহিনীর গণহত্যা ও বধ্যভূমির তথ্য খুবই সহায়ক ভূমিকা রাখবে।