“চতুর গোয়েন্দা চতুরভিযান” বইয়ের ফ্র্যাপের লেখা:
একটি নয়, দুটি নয়, চার-চারটি অভিযান। শঙ্কু, দেবু ও তাতার—এই তিন বন্ধুর অভিযান। তবে এই অভিযানের মধ্যমণি তাতারই। ঘটনার পরিস্থিতিতে অল্পবয়সী কিশাের। কিশােরীরাও যে কীভাবে দুঃসাহসী হয়ে ওঠে, এই বইয়ের প্রতিটি অভিযানে তারই বিস্ময়কর প্রকাশ। শুধু কি ওরা ? ছােট্ট বােন টিঙ্কু, কুড়নাে মেয়ে সােনাই আর বাঘের চেয়েও ভয়ঙ্কর ডগারের অবদানও এই অভিযাত্রায় বড় কম নয়। কম নয় শাখমৃগ মালিনীর ভূমিকাও। কিন্তু সবাইকে যে ছাপিয়ে যায়, সে সেন্টুদা। একগুঁয়ে নিঃসঙ্গ বেপরােয়া এই আদর্শবাদী যুবককে ভােলবার নয়। ভােলা যায় না মমতাময়ী মীরাদিকেও, সেই সঙ্গে আরও অনেক চরিত্রকে। যারা বরাবরের জন্য পাঠকের মনে দাগ কেটে যায়। রুদ্ধশ্বাসে অপেক্ষা করতে হয় সেই অন্তিম মুহুর্তটির জন্য, দুষ্কৃতীরা যখন বস্তাবন্দি করে তাতারকে ফেলে দিল অতল জলে। তাতারের পরিণতি তখন কী হল? আর সর্বশেষ অভিযানে সেই রহস্যময় আগন্তুকের পরিচয়ও কি জানা গিয়েছিল শেষপর্যন্ত ?