মাতা-পিতা ও সন্তানের হক

৳ 40.00

লেখক প্রফেসর মুহম্মদ মতিউর রহমান
প্রকাশক আধুনিক বই পাবলিকেশন
ভাষা বাংলা
পৃষ্ঠার সংখ্যা ৭৬
সংস্কার Edition, 2017
দেশ বাংলাদেশ

“মাতা-পিতা ও সন্তানের হক” বইটির ভূমিকা থেকে নেয়াঃ
মানব সমাজ একটি পারস্পরিক গভীর সম্পর্কে অন্বিত। এ সম্পর্কের মধ্যে প্রেম-প্রীতি-ভালবাসা ও পারস্পরিক সহানুভূতি-সহযােগিতা ও সমমর্মিতা যত নিবিড় হয়, ততই কল্যাণকর। পিতা-মাতা ও সন্তানের মধ্যকার পারস্পরিক সম্পর্ক অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ ও সুমধুর। এ সম্পর্কের মধ্যে পারস্পরিক দায়িত্ব-কর্তব্যের বিষয় জড়িত রয়েছে। সে দায়িত্ব-কর্তব্য যথাযথরূপে পালনের মাধ্যমে সুখী-সুন্দর, শান্তিপূর্ণ-কল্যাণকর জীবন ও সমাজ পরিগঠিত হয়। বর্তমানে আমাদের সমাজে পারিবারিক বন্ধন অনেকটা শিথিল হয়ে পড়েছে। এ কারণে ব্যক্তি জীবনে যেমন নানা বিপর্যয় নেমে এসেছে, পারিবারিক-সামাজিক জীবনেও তেমনি নানা সংকট ও অব্যবস্থা লক্ষ্য করা যাচ্ছে। ইসলামের পারিবারিক ব্যবস্থা কায়েম হলে ব্যক্তি-পরিবার-সমাজ ইত্যাদি সকল ক্ষেত্রেই শান্তি, কল্যাণ ও সুস্থ পরিবেশ সৃষ্টি হতে পারে। এ গ্রন্থে সে সম্পর্কেই কিঞ্চিৎ আলােচনার প্রয়াস পেয়েছি। আশা করি, সংশ্লিষ্ট সকলেই এর দ্বারা উপকৃত হবেন।

সম্পাদক পরিচিতি মুহম্মদ মতিউর রহমানের জন্ম ৩ পৌষ, সােমবার ১৩৪৪ (১৮ ডিসেম্বর, ১৯৩৭) সিরাজগঞ্জ জেলার অন্তর্গত শাহজাদপুর থানার চর নরিনা গ্রামে মাতুলালয়ে। পৈত্রিক নিবাস শাহজাদপুর থানার চর বেলতৈল গ্রামে। পিতা আবু মুহম্মদ গােলাম রব্বানী, মাতা মােছাম্মৎ আছুদা খাতুন, দাদা মুনশী ওয়াহেদ আলী পণ্ডিত, দাদী। মােছাম্মৎ রমিছা খাতুন। বনেদি মুনশী পরিবারটি এক সময় বিদ্যাচর্চা ও শিক্ষাদানের কাজে সুখ্যাতি অর্জনের ফলে ‘পণ্ডিত বাড়ি হিসাবে পরিচিতি লাভ করে। গ্রামের স্কুলে প্রাথমিক শিক্ষা লাভের পর নরিনা মধ্য ইংরাজি স্কুলে পঞ্চম-অষ্টম শ্রেণী, ১৯৫৬ সালে পােতাজিয়া হাইস্কুল থেকে মেট্রিক, ১৯৫৮ সালে পাবনা এডওয়ার্ড কলেজ থেকে আই.এ., ১৯৬০ সালে বি.এ. এবং ১৯৬২ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বাংলায় এম.এ. ডিগ্রী লাভ। ১৯৬২ সালের নভেম্বরে ঢাকাস্থ সিদ্ধেশ্বরী কলেজে অধ্যাপনা শুরু। কর্ম জীবন ঃ ১৯৬২-৭৭ পর্যন্ত সিদ্ধেশ্বরী কলেজে যথাক্রমে অধ্যাপক, ভাইস-প্রিন্সিপাল ও ভারপ্রাপ্ত প্রিন্সিপালের দায়িত্ব পালন ও ১৯৬৩-৬৯ পর্যন্ত ঢাকাস্থ ফ্রাঙ্কলিন বুক প্রােগ্রামস্ ইন,-এ সহকারী সম্পাদক ও প্রথম বাংলা বিশ্বকোষ প্রকল্পে অন্যতম সম্পাদক। ১৯৭০-৭১ একটি জাতীয় দৈনিকের সাহিত্য সম্পাদক, ১৯৭৭-৯৬ পর্যন্ত দুবাই চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রিতে প্রকাশনা বিভাগে সম্পাদক এবং ২০০৩-০৯ পর্যন্ত এশিয়ান ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশের বাংলা বিভাগের প্রফেসর ও চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন। সাহিত্যকর্ম ও পঞ্চম শ্রেণীতে অধ্যয়নকালে কবিতা লেখা শুরু। ১৯৫৮ সালে নজিবর রহমানের উপর লেখা তার প্রথম গবেষণামূলক প্রবন্ধ দৈনিক আজাদ' পত্রিকায় প্রকাশিত হয়। প্রকাশিত গ্রন্থের তালিকা ও সাহিত্য বিষয়ক ঃ ১. সাহিত্যচিন্তা, ২.

বাংলা সাহিত্যের ধারা, ৩. বাংলাদেশের সাহিত্য, ৪. বাংলা সাহিত্যে মুসলিম ঐতিহ্য, ৫. হাজার বছরের বাংলা কবিতা, ৬.

রবীন্দ্রনাথ, ৭. রবীন্দ্রনাথ ও আমাদের সংস্কৃতি, ৮. জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম, ৯. গদ্যশিল্পী নজরুল, ১০.

বিদ্রোহী ও জাতীয় কবি নজরুল ও জীবন ও কাব্য, ১১. ফররুখ প্রতিভা, ১২. ফররুখ আহমদের সাত সাগরের মাঝি, ১৩, বাঙালি মুসলিম নবজাগরণে সাহিত্য সংস্কৃতি সংগঠনের ভূমিকা, ১৪. বাংলা ভাষা ও ঐতিহাসিক ভাষা আন্দোলন, –


লেখক সম্পর্কে বিস্তারিত পড়ুন →
বই সম্পর্কে কোন জিজ্ঞাসা বা মতামত থাকলে আমাদেরকে জানান
শেয়ার করুন

লেখকের অন্য বইসমূহ

প্রকাশকের অন্য বইসমূহ