কোমল রাগিণী কেউ আজ শুনবে না, দুপুর বেলায় ভৈরবী কেন ধরাে? অসম্ভব যে গভীর প্রেমকে চেনা, শিউলি বকুল রজনীগন্ধা হেনা এরা সব নাকি মিথ্যে কথায় কেনা ; তাই বলি, মন, চুপ করাে চুপ করো।
রেশমী স্বপ্ন ছিড়েছে হিংস্র কীটে জন্ম নিয়েছি যখন লগ্নে রাহু ; বুলবুলি ভরা গরিব চাষার ভিটে হৃদয়মহল,গেঁথেছি পাথরে ইটে। আকাশটাকেও বাঁধিয়েছি কংক্রিটে, তাই বলি, মন, হয়াে নাকো উদ্বাহু।
অবাধ্য মন সেকথা নেবে না কানে চুপ করে থাকে,তবু মিটিমিটি হাসে, চুপি চুপি সুর সাধে গুনগুন গানে ; হঠাৎ দেখছি, কখন অসাবধানে চিড় খেয়ে গেছে পাথর-বধানাে শানেআর সে-ফাটল ভরেছে দুর্বোঘাসে।
শান্তিনিকেতনে সন্ধ্যা সিথির মতন রাঙা পথ ;ওরা পাশাপাশি হাঁটে মদির গােধূলিবেলা,একজন থামে আর মাঠে। ঘুরে যায় অন্যজন ফের কাল দেখা হবে’-বলে, সে কথার ঢেউ লাগে প্রথমার গৈরিক আঁচলে।