“আমাকে দেখুন -চার পর্ব একত্রে” বইয়ের ফ্ল্যাপের লেখা:
লেখক একসময় বেশ কিছুদিন বম্বেতে (এখনকার মুম্বাই) কাটিয়েছেন। থাকতেন জুহু-তারা রােডে। পাশেই জগদ্বিখ্যাত জুহু সৈকত। তখন ওই অঞ্চল ছিল ভীষণ নির্জন, মানুষজন বাড়িঘর খুবই কম। বেলাভূমিতে রােজ প্রাতঃভ্রমণের সময় ডি-সিলভা নামে এক পিদ্রুর সঙ্গে তাঁর আলাপ। গােয়ার খ্রিস্টানদের পিদ্রু বলে। নিত্যনতুন ফন্দি এঁটে ডি-সিলভা লােক ঠকায়। তার নিজের ভাষায় ফোরটোয়েন্টিগিরি তার হােল-টাইম প্রফেশন। লােক ঠকিয়ে সে যা জোটাতে পারে নিজের প্রয়ােজন মিটিয়ে বাকি সব অকাতরে বিলিয়ে দেয়। সঞ্চয় করাটাকে সে ঘৃণা করে। ডি-সিলভা এক মজার মানুষ ; সারাক্ষণ তার মুখে কথার খই ফোটে। নানারকম বিচিত্র অঙ্গভঙ্গি করে চারপাশের সবাইকে সে মাতিয়ে রাখে। কখনও কখনও তাকে নিরাসক্ত দার্শনিক মনে হয়।
ডি-সিলভার আদলে গড়ে উঠেছে ‘আমাকে দেখুন’-এর কেন্দ্রীয় চরিত্র পিটার স্বয়ম্ভু হােড়। সে সুকৌশলে সমাজের উঁচু উঁচু মহলে ঢুকে পড়ে। ধর্ম, রাজনীতি, শিল্পবাণিজ্য ইত্যাদি নানা স্তরে যে দুনীতিপরায়ণ, ভ্রষ্ট, ধুরন্ধর হাঙরেরা কীভাবে দেশকে সর্বনাশের পথে নিয়ে চলেছে, তাদের আসল চেহারা উন্মােচন করতে করতে সে এগিয়ে চলে।
এই উপন্যাসে চমকপ্রদ স্টাইল লক্ষ করা যায়। স্বয়ম্ভ পাঠকের সঙ্গে কথা বলতে বলতে তাদের নানা ঘটনা, মানুষ এবং বিস্ময়কর অভিজ্ঞতার মধ্যে নিয়ে গিয়ে দেখিয়ে দেয় কোথায় কত ভণ্ডামি, ক্লেদ আর নীচতা জমে আছে। কৌতুকে মােড়া ‘আমাকে দেখুন এই সময়ের এক আশ্চর্য দর্পণ।