“সফেদ দুর্গ” বইটির ফ্ল্যাপ এর লেখাঃ
বােরহেস, নবােকভ ও দেলিও-র সঙ্গে তুলনীয় তুর্কী লেখকের। এই চমকপ্রদ সৃষ্টি একাধারে এক মনােমুগ্ধকর ঐতিহাসিক উপন্যাস এবং অস্তিত্বের প্রহেলিকা ও প্রাচ্য-পাশ্চাত্যর সম্পর্ক বিষয়ক এক উচ্চাবচ আখ্যান। সপ্তদশ শতকে ভেনিস থেকে। নেপলস্ যাওয়ার পথে এক অল্পবয়সী ইতালীয় পণ্ডিতপ্রবরকে বন্দী করে কনস্ট্যানটিনােপলে চালান করা হয়। সেখানে সে বিলকুল তারই মতাে দেখতে হােজা (প্রভু) নামক এক। বিদ্যোৎসাহীর হাতে পড়ে। পরবর্তী বহু বছর ধরে সে দাস। হিসেবে তার প্রভুকে ঔষধবিদ্যা থেকে শুরু করে আতসবাজি। নির্মানের কৌশল পর্যন্ত পাশ্চাত্য বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির বিভিন্ন বিষয়ে শিক্ষাদান করতে থাকে। কিন্তু হােজা আরও জানতে চায়। যে সে ও তার দাস যেমন মানুষ তেমন তারা হল কেন এবং পরষ্পরের গােপনতম কথাগুলাে জানতে পারলে কি তারা একে অপরের পরিচয়ও অদলবদল করতে পারবে। অসাধারণ পাণ্ডিত্য ও ভয় জাগানাে আদিমতায় পূর্ণ এক দুনিয়ার প্রেক্ষাপটে রচিত। সফেদ দুর্গ হল কল্পনার এক জটিল ও বহুবর্ণশােভিত দলিল।