নদীর নাম সােমেশ্বরী। পূর্ব নাম সিমসাং। সেই নদীতে লাগে যখন জোয়ার-ভাটার টান, স্বচ্ছতােয়া জলের ইশারায় তৈরি হয় কত না অনামী গল্প! কুলকুল বয়ে চলা এই নদীকে জননীর আঁচলে নিত্য যেন জড়িয়ে রেখেছে শাদাশুভ্র বালুকণা। কেউ বলে, বালু নয়, ও যে মুক্তো! মুক্তোর খোঁজে তবে এবার চলাে নেত্রকোনা। হে দর্শক, তােমার গল্পের নটেগাছটি মুড়িয়াে না। দেখাে, সলমা জরির কারুকাজখচিত তােমারআমার কথার ফাঁকফোকর পেরিয়ে, মােমেনশাহীর১৫ চওড়া রাস্তা পেছনে ফেলে আমাদের গল্প এখন ছুটে চলেছে সােমেশ্বরীর দেশে। এই পথ যেতে যেতে হয়তাে তুমি পেয়ে যাবে আচিকগাথার অমরাবতী শেরানজিংকে১৬। নেত্রকোনা ছাড়িয়ে বায়ানখালি, দেইডুকুন, গুদালিকান্দা, জারিয়ার পথে খুব খেয়াল করলে দেখবে গারাে গল্পগাথার এই আচিক নারীর অনন্ত বেদনায় মুখ গােমড়া করে আছে এবড়ােখেবড়াে মাটি। ঝাঞ্জাইল, লক্ষ্মীপুর, কৃষ্ণর চর, উত্রাইল পার হলে তার রঙ আরও কালাে হবে। শেষে বিরিশিরির গারাে বাজারে পৌছে তােমার যাত্রা সাঙ্গ হােক।