“কমিউনিজমের অতীত, বর্তমান, ভবিষ্যৎ প্রেক্ষিত বাংলাদেশ” বইয়ের ফ্ল্যাপের লেখা:
১৯৯১ সনের পর দেশের অর্থনীতির ক্ষেত্রে যে ব্যাপক পরিবর্তন ঘটে, যার সূচনা হয়েছিল সেনাশাসনে, ‘অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ স্টেট’-এর আওতায়, তাতে বাংলাদেশে একটি পুঁজিপতি শ্রেণি গড়ে উঠেছে এবং তাদের এখন আর রাষ্ট্রের ওপর সম্পূর্ণভাবে নির্ভর করার দরকার নেই। বাংলাদেশের রাজনৈতিক দলগুলাে, বিশেষত আওয়ামীলীগ, বিএনপি, জাতীয় পার্টি, জামায়াতে ইসলামি ইত্যাদি দলগুলাে এই শ্রেণিরই প্রতিনিধিত্ব করে। অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ স্ট্রেট’-এর পরিবর্তে জাতীয় মতৈক্যের ভিত্তিতে যে শাসনব্যবস্থা গড়ে উঠতে পারত, সেখানে পেশাদার প্রশাসনব্যবস্থা আইনের শাসন নিশ্চিত করতে পারত। শাসকশ্রেণি সে দিকে অগ্রসর হয়নি তাদের মধ্যকার ক্ষুদ্র স্বার্থ, পারিবারিক সংঘাতের কারণে। তারা প্রশাসনকে বিকেন্দ্রীকরণ না করে দলীয়করণ করার পথেই অগ্রসর হয়েছে। ১৯৯১ সনের পর তার সূচনা এবং ক্ষমতার হাতবদলের পর তা আরও বেশি নগ্নরূপে প্রকটিত। বর্তমানে প্রশাসন আর ক্ষমতাসীন দলের মধ্যে পার্থক্য টানা সত্যিই দুরূহ।