“দ্য ওয়াণ্ডারার’স নেকলেস” বইটির ফ্ল্যাপ এর লেখাঃ
লতিফুল ইসলাম শিবলীকে শেষ পর্যন্ত পাওয়া গেছে ফেসবুকে, প্রায় এক যুগ পর । আমূল বদলে গেছে সবকিছু। ৯০-৯৮ প্রায় এক দশকে এ দেশের মঞ্চ, সংগীত, নাটক, কবিতা, মডেলিং, অভিনয় কোথায় ছিলেন না তিনি। শিবলীর সমস্ত কর্ম এক দশকের স্টাইল ফ্যাশন আর তারুণ্যের ইতিহাস। আজ বদলে গেছে তার জীবনদর্শন। জীবনমৃত্যু আর প্রতিটি মুহূর্তের বেঁচে থাকার যে নিগুঢ় আধ্যাত্ম রহস্যময় তার খোজেই তিনি কাটিয়ে দিলেন পুরাে একটি যুগ। জমজমাট এক কর্মযজ্ঞের মাঝেই হঠাৎ লুকিয়ে গেলেন তিনি। কোথাও খুঁজে পাইনি। আমরা তাকে। এরই মাঝে রয়েছে ইউরোপের প্রবাস জীবন। আমরা উদ্যোগ নিয়েছি তার গীতি এবং কবিতাগুলাে সংগ্রহের, তার কাছ থেকে পেয়েছি ছেড়া ডায়েরি আর টুকরা টুকরা ছেড়া কাগজের এক বস্তা । খুঁজতে গিয়ে পেয়েছি অপ্রকাশিত লেখা আবার অনেক লেখা খুঁজে পাইনি, সেই প্রয়াস থেকেই এই গ্রন্থ। অনুমতিও পাওয়া গেল তার। ৯০ দশকের স্বৈরশাসনের যন্ত্রণাকাতর সময় এবং পরবর্তী অস্থিরতা ছড়িয়ে আছে লেখাগুলাের পরতে পরতে। এই অর্থে লেখাগুলাে ৯০ দশকের স্মারক। মুখে মুখে ফেরা প্রচুর জনপ্রিয় গানের জনক তিনি। কত বিষয়ে যে তিনি লিখেছেন, গানে এত বিষয়ের বৈচিত্র্য তাঁর সমসাময়িক কালে আর দেখা যায় না। যতত্ৰত লিখেছেন, ঠোঙ্গার কাগজ থেকে শুরু করে বন্ধুর বাড়ির দেয়াল পর্যন্ত । জাগিয়ে দিও’ এবং হুইল চেয়ারে যােদ্ধা’ উদ্ধার করা হয়েছে দেয়াল থেকে। শিবলীর প্রকাশিত প্রথম কাব্যগ্রন্থ ইচ্ছে হলে ছুঁতে পারি তােমার অভিমান থেকেও কিছু লেখা নেওয়া হয়েছে । গ্রন্থটিতে রয়েছে নিরেট কবিতা বা গান। প্রকাশিত মূল গানের সঙ্গে লিখিত গানের অনেক ক্ষেত্রেই হুবহু মিল পাওয়া যাবে না। সুরের কারণে লেখায় অনেক পরিবর্তন ঘটে। যেমন জেমসের একজন বিবাগী’ গানটি প্রথম লেখা হয়েছিল একজন জুয়াড়ি’ নামে। আবার আইয়ুব বাচ্চুর বড়বাবু মাস্টার’ গনটিতে স্টেশনের নাম ছিল নাটোর স্টেশন’ কিন্তু গানটিতে ব্যবহার করা হয়েছে ‘মধুপুর স্টেশন’ । আবার অনেক ক্ষেত্রে পুরাে গান নয় বরং গানের কাব্যময় চৌম্বক অংশটুকুই শুধু তুলে দেওয়া হয়েছে। সুতরাং কবিতা পড়তে পড়তে কখনাে হোঁচট খেলে ব্যাখ্যাটা তাে এখন জানাই রইল । জেনেছি এখন সুফি ও আধ্যাত্মিকতা নিয়ে তিনি আবার কলম ধরেছেন। আমার প্রতীক্ষায় আছি।