কাহিনি সংক্ষেপঃ
ঘরে ঢুকেই নিচু মাথায় অস্ফুট গলায় লুতফা বলল, ‘এইটা মফঃস্বল শহর। এখানে মানুষ দেখার আগে, নিয়ম কানুন ঠিকমতো পালন হল কিনা সেটা দেখা হয়। আপনি হবু জামাই, এ বাড়িতে প্রথম এসেছেন। আপনার খালি হাতে হুট করে আসা নিয়ে অনেকেই অনেক আজেবাজে কথা বলবে। কয়েক রাস্তা পরেই সুধীর ঘোষ মিষ্টির দোকান। আপনি কি পিছনের দরজা দিয়ে গিয়ে পাঁচ কেজি মিষ্টি নিয়ে আসতে পারবেন?’ থতমত মুখে আদিল উঠে দাঁড়ায়, ‘ভুল হয়ে গেছে। তুমি দেখা করবে না কিন্তু তোমার সাথে আমার কথা বলাটা জরুরী ছিল। ঝোঁকের মাথায় চলে এসেছি। আমার এভাবে আসাটা ঠিক হয়নি। আমি এক্ষুণি মিষ্টি নিয়ে আসছি।’
‘বললেন ঝোঁকের মাথায় চলে এসেছেন, আপনার কাছে পাঁচ কেজি মিষ্টি কেনার টাকা আছে তো?’
ঠোঁট কামড়াতে কামড়াতে আদিল মানিব্যাগ বের করল, তাকে দেখে মনে হচ্ছে সে মাটির সাথে মিশে যাবে। ‘মিষ্টি কেনা যাবে, কিন্তু মিষ্টি কেনার পর ঢাকা যাওয়ার ভাড়া থাকবে না।’
‘আপনি দাঁড়ান, আমি আসছি’ বলে লুতফা চট করে ভেতরের ঘরে চলে গেল। একটু পর মুঠি বদ্ধ করে ফিরে এসে আদিলের হাতে টাকা গুঁজে দিয়ে বলল, ‘আপনাকে লজ্জা পেতে হবে না, টাকাটা আমার। আমি টিউশনি করাই। টাকা ঋণ হিসেবে নিচ্ছেন ভেবে নিন, এতে আপনার অস্বস্তি কম হবে। পরে নাহয় শোধ করে দিবেন।’ আদিল হেসেছিল। সেই হাসিতে লুতফা ছবির পর দ্বিতীয়বার উদাসপুত্রের প্রেমে পড়ে গিয়েছিল।