কাহিনি সংক্ষেপ-
এলিফ্যান্টস ক্যান রিমেম্বার-সাহিত্যিকদের ভোজসভায় প্রথমবারের মতো গিয়েই ফেঁসে গেলেন স্বনামধন্য রহস্য ঔপন্যাসিকা মিসেস অলিভার। চেনা নেই, জানা নেই, হঠাত করেই উটকো এক প্রশ্নের সম্মুখীন হতে হলো। সিলিয়া র্যাভেন্সক্রফটের বাবা-মায়ের সাথে আসলে কী ঘটেছিল? পরিকল্পিত আত্মহত্যা, নাকি ঠাণ্ডা মাথায় খুন? মিসেস বার্টন-কক্সের জন্য প্রশ্নটির উত্তর জানা জরুরী। তার ছেলে ডেসমন্ড ও মিসেস অলিভারের ধর্মকন্যা সিলিয়ার বিয়ে হতে যাচ্ছে খুব শিগগির। কিন্তু যে মেয়ের বাবা-মায়ের সাথে এমন ঘটনা ঘটেছে, তার সাথে কি ছেলের বিয়ে দিতে আছে? নাকি অন্য কোন স্বার্থ আছে মিসেস বার্টন-কক্সের এ প্রশ্নের? কৌতুহল চেপে রাখা কঠিন হয়ে দাঁড়াল মিসেস অলিভারের জন্য।
সাহায্যের জন্য দ্বারস্থ হলেন বন্ধু ও দুঁদে গোয়েন্দা এরকুল পোয়ারোর। বিনি সুতোয় মালা গাঁথতে শুরু করলেন দু’জনে। একের পর এক ‘হাতির’ কাছে যাচ্ছেন, শুনছেন অতীতের এক অবিশ্বাস্য কাহিনি। সত্যটা কী, জানতে হলে যেতে হবে আরো গভীরে।
পোয়ারোর সামনে এবার স্বামী-স্ত্রী দ্বৈত হত্যা মামলা। গুলিবিদ্ধ দেহদুটো নিজেরাই কি বেছে নিয়েছিল করুণ এক পরিণতি? নাকি তারা কারো প্রতিহিংসার শিকার? সামান্য কিছু উইগের সূত্র ধরে পোয়ারো ধীরে ধীরে উন্মোচন করলেন অকল্পনীয় এক সত্য। হিংসা, ঘৃণা, আবেগ, ভালোবাসা- মানবিক সব অনুভূতির মিশেলে কৃত এই পাপের ছায়ার বিস্তার বহুদূর।
এন্ডলেস নাইট-যেখানে শেষ, সেখানেই শুরু-কথাটার আসল অর্থ কী? কোন বিশেষ মুহূর্ত কী এমন আছে, যেটা দেখিয়ে বলা যেতে পারে যে-অমুক দিন…অমুক সময়…অমুক জায়গায়…অমুক ঘটনা থেকেই সব কিছুর শুরু?
আমার এ কাহিনির শুরুও বড় অদ্ভুত। সম্ভবত যেদিন আমি ‘দ্য টাওয়ারস’-এর বিজ্ঞাপন দেখলাম, সেদিনই।
বারবার সাবধান করে দেয়া হয়েছিল আমাকে, বলা হয়েছিল বেদের মাঠ থেকে যেন দূরে থাকি।
অচিরেই জানতে পারলাম, শেষের মাঝেই কীভাবে লুকিয়ে রয়েছে আমার শুরু!