”জীবনের শিলান্যাস” বইটির সম্পর্কে কিছু কথাঃ
আমার জন্ম, বেড়ে ওঠা ঢাকায়। শৈশবের ফাঁকা ঢাকা শহর, দিনের ব্যস্ততা, রাতের সোডিয়াম লাইট ইত্যাদির সাথে তুলনা করে এখনের ঢাকার জীবন দুর্বিষহ মনে হয়। অনিঃশেষ যানজট, হুল্লোড় চিৎকারে তৈরি হওয়া বিরক্তি টেনে নিয়ে যায় শৈশবের সেই স্মৃতিময় ঢাকায়। এর থেকেই সম্ভবত আগ্রহ তৈরি হয়েছে পুরোনো দিনের ঢাকা সম্পর্কে। একাডেমিক তথ্যের চাপে নিরস হয়ে ওঠা বই নয়, অতীতের জানালা হিসেবে আমি খুঁজেছি আত্মজৈবনিক রচনার মতো স্বাদু জিনিস। কারণ, মানুষ নিজেকে নিয়ে ভাবতে ভালবাসে, তাই দু’মাস ভাড়া থাকা বাড়ি হয় ‘আমার’ পুরোনো বাড়ি। চাকরিজীবনের অ্যাপ্রেন্টেসি করা অফিস লোকে আঙুল উচিয়ে নির্দেশ করে “ঐ আমার প্রথম রুজির জায়গা”। এহেন মানুষ যখন আত্মজীবনী লিখতে বসে, সেটা হয় রসের দোকান। আপনমনে নিজেকে মেলে ধরে মানুষ সেসব রচনায়।