সুন্দর রহস্যময়

৳ 180.00

লেখক শক্তি চট্টোপাধ্যায়
প্রকাশক আনন্দ পাবলিশার্স (ভারত)
আইএসবিএন
(ISBN)
9789350403020
ভাষা বাংলা
পৃষ্ঠার সংখ্যা ৬৪
দেশ ভারত

”সুন্দর রহস্যময়”বইয়ের প্রথম ফ্ল্যাপ এর লেখা:
সুন্দর শুধুই রহস্যময় নয়, রহস্যময় বলেই হয়তাে সুন্দর এমন সৌন্দর্যময়ও। একজন কবি যেভাবে সুন্দরকে অন্বেষণ করেন, একজন চিত্রী নিশ্চিত সেভাবে নয়। তেমনই, দু-জন কবির দৃষ্টিকোণেও থাকে মৌল প্রভেদ, প্রকাশভঙ্গিতে থাকে ব্যবধান। থাকে, কেননা সুন্দর রহস্যময়। থাকে, তাই সুন্দর রহস্যময়। এই কাব্যগ্রন্থের দুই মলাটের মধ্যে সুন্দরের। অনুসন্ধান ও অনুসরণের, অনুধ্যান ও প্রতিষ্ঠার এক দুর্লভ পরিচয়। মূলত, এ-যুগের দুই প্রধান। কবির দীর্ঘ কবিতার সংগ্রহ এই বই। তারই সঙ্গে যুক্ত হয়েছে এ-কালের অপ্রতিদ্বন্দ্বী এক চিত্রীর এমন অসামান্য কিছু শিল্পকর্ম, যা নিছক অলংকরণ নয়। কবিতার অন্তস্থল থেকে অন্তঃসারটুকু হেঁকে নিয়ে নীরদ মজুমদার রচনা করেছেন এমন স্বতন্ত্র এক শিল্প, যার আরেক নামও কবিতা। সুনীল গঙ্গোপাধ্যায় তার তিনটি দীর্ঘ কবিতায় ফুটিয়েছেন জীবনযাপনের পাশাপাশি এক অদেখা জীবনের ছবি। গ্রাম থেকে শহর, শহর থেকে ভারতবর্ষের পটভূমিকায় স্থাপন করেছেন তিনি। তার অনুভব ও উপলব্ধিকে, স্মৃতি ও অভিজ্ঞতাকে। চিৎপুরের সুড়ঙ্গ, চীনেপাড়ার গােলকধাম, সােনাগাছি, ওয়াটগঞ্জ ঘুরে তার কৈশাের-ভাঙার নেশা, পীরজাঙ্গাল পেরিয়ে শ্যামনগর, আর মানিকচকের খাল পেরিয়ে ঐতিহাসিক চিত্রের মতাে এক গ্রামের বর্ণনা, ভারতবর্ষের মানচিত্রের ওপর দাড়িয়ে তার পথ হারিয়ে ফেলা—এক অনন্য জগতে নিয়ে যায় পাঠককে। শক্তি চট্টোপাধ্যায়ের দীর্ঘ তিনটি কবিতায় কেবলই নিজেকে খোঁড়া। এ আরেক জীবনযাপনের ছবি। রক্ত-মাখা, ব্লীচিং পাউডারের গন্ধমাখা তুলাের মধ্যে এক ভয়ংকর ভয়-ভয় অনুভব, যা থেকে আসে মৃত্যুবােধ, আবার তারই পাশাপাশি এক প্রবল ভালােবাসার পিছুটান। সে-ভালােবাসায় মিশে থাকে পর্তুগীজ চাঁদ, আলতাপাটি শিমলতা, শালুকের ঘুমন্ত ফুল, মন্থর জলের উপর মেঘের ছায়া, টিলার উপরের এক অলৌকিক বাড়ি, খাড়া মানুষের মতাে বেঁচে-থাকার সাধ এবং কবিতার মােহমায়া। স্বাদে-রূপে-রসে এক আশ্চর্য বই—‘সুন্দর রহস্যময়।

জন্ম: নভেম্বর ২৫, ১৯৩৪ সালে জীবনানন্দ-উত্তর যুগের বাংলা সাহিত্যের একজন প্রধান আধুনিক কবি। বাঙালি-ভারতীয় এই কবি বিংশ শতাব্দীর শেষ ভাগে বিশেষভাবে পরিচিত এবং আলোচিত ছিলেন। শক্তি চট্টোপাধ্যায় পশ্চিমবঙ্গ এর জয়নগর - মজিলপুরের দরিদ্র ব্রাহ্মণ পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। পিতার নাম বামানাথ চট্টোপাধ্যায়। কলকাতার কাশিমবাজার স্কুলে পড়তেন। দারিদ্রের কারণে তিনি স্নাতক পাঠ অর্ধসমাপ্ত রেখে প্রেসিডেন্সি কলেজ ছাড়েন এবং সাহিত্যকে জীবিকা করার উদ্দেশ্যে উপন্যাস লেখা আরম্ভ করেন। কলেজজীবনে রাজনীতির সাথে জড়িয়ে পড়েছিলেন তিনি। প্রথম উপন্যাস লেখেন কুয়োতলা। কিন্তু কলেজ - জীবনের বন্ধু সমীর রায়চৌধুরীর সঙ্গে তাঁর বনাঞ্চল - কুটির চাইবাসায় আড়াই বছর থাকার সময়ে শক্তি চট্টোপাধ্যায় একজন সফল লিরিকাল কবিতে পরিণত হন। একই দিনে বেশ কয়েকটি কবিতা লিখে ফেলার অভ্যাস গড়ে ফেলেন তিনি। শক্তি নিজের কবিতাকে বলতেন পদ্য। ভারবি প্রকাশনায় কাজ করার সূত্রে তার শ্রেষ্ঠ কবিতার সিরিজ বের হয়। পঞ্চাশের দশকে কবিদের মুখপত্র কৃত্তিবাস পত্রিকার অন্যতম কবি হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হন। তার উপন্যাস অবনী বাড়ি আছো? দাঁড়াবার জায়গা ইত্যাদি প্রকাশিত হয়। রূপচাঁদ পক্ষী ছদ্মনামে অনেক ফিচার লিখেছেন। তার প্রথম কাব্যগ্রন্থ 'হে প্রেম, হে নৈশব্দ' ১৯৬১ সালে প্রকাশিত হয় দেবকুমার বসুর চেষ্টায়। ১৯৭০ - ১৯৯৪ আনন্দবাজার পত্রিকায় চাকরি করেছেন। ১৯৬১ সালের নভেম্বরে ইশতাহার প্রকাশের মাধ্যমে যে চারজন কবিকে হাংরি আন্দোলন - এর জনক মনে করা হয় তাঁদের মধ্যে শক্তি চট্টোপাধ্যায় অন্যতম । সাহিত্য অকাদেমি পুরস্কার সহ তিনি একাধিক পুরস্কারে সন্মানিত । তিনি মার্চ ২৩, ১৯৯৫ সালে মৃত্যুবরণ করেন।


লেখক সম্পর্কে বিস্তারিত পড়ুন →
বই সম্পর্কে কোন জিজ্ঞাসা বা মতামত থাকলে আমাদেরকে জানান
শেয়ার করুন

লেখকের অন্য বইসমূহ

প্রকাশকের অন্য বইসমূহ