“জীবাণু” বইয়ের ফ্ল্যাপের লেখা:
বাঙ্গালােরের কলেজ থেকে বায়ােটেকননালজির ডিগ্রি নিয়ে কলকাতায় ফেরার পর শুভ্র দিনগুলাে খুব আয়েস করেই কাটাচ্ছিল। দাদুর ওষুধের কোম্পানি আশা ফার্মাসিউটিক্যালস নিয়ে মাথা ঘামানাের ইচ্ছেই ওর ছিল না। হঠাৎ মােটর দুর্ঘটনায় দাদু মারা যেতে খানিকটা লােকসানে চলা পুরাে কোম্পানির ‘ দায়িত্ব ওর কাঁধে এসে পড়ল। শুভ্র এমনিতেই একটু বেপরােয়া ধরনের ছেলে। ও প্রতিজ্ঞা করল, যে-কোনও উপায়েই তাকে ব্যবসায় সফল হতেই হবে। বান্ধবী রিঙ্কিকে শুভ্র ব্যবহার করতে লাগল, সরকারি বরাত পাওয়ার জন্য। একদিন কথায় কথায় সাগ্নিক নামে একজন মাইক্রোবায়ােলজিস্টের কাছ থেকে শুভ্র জানতে পারল, ল্যাবরেটরি থেকে ভাইরাস বের করে এনে যদি বাইরে ছড়িয়ে দেওয়া যায়, তা হলে আখেরে লাভ হবে। কেননা সেই ভাইরাস ছড়িয়ে যাওয়ার পরই চাহিদা অনুযায়ী ওষুধের জোগান দিতে পারে তার কোম্পানি। শুভ্র যখন পরিকল্পনামাফিক এগােচ্ছে, তখনই ওর কোম্পানিতে যােগ দেয়। ফার্মাসিস্ট ঊর্মি। উর্মি চাকরিতে ঢােকার পরই বিদেশ থেকে প্রচুর ব্যবসা পেতে থাকে আশা ফার্মাসিউটিক্যালস। শুভ্রর মনে হয়, উর্মি খুব লাকি। শুভ্র উর্মির প্রেমে পড়ে যায় এবং সিদ্ধান্ত নেয় বিয়ে করবে। এ দিকে, সাগ্নিকের কাছ থেকে ‘হাস’ নামে এক ধরনের ভাইরাস পেয়ে যায় শুভ্র। একটা মিনারেল ওয়াটার কোম্পানির জলের বােতল মারফত সেই ভাইরাস শুভ্র ছড়িয়ে দেয় বাইরে। তার পরই চলে যায় অফিসের কাজে বাইরে। ফিরে এসে শুভ্র শুনতে পায়, উর্মি ‘হাস’ রােগে আক্রান্ত হয়েছে। শুভ্র দিশাহারা? কীভাবে সে বাঁচাবে উর্মিকে?