ফ্ল্যাপে লিখা কথা
প্রবাস জীবনের অন্ধকার সংসার কূপ এর প্রতিচ্ছবি হচ্ছে সুমনার জীবন। স্বাধীনতায় নারীর কোন অধিকার নেই; গল্পটি এই অপঙক্তেয় বক্তব্যের লিখিত জবানবন্দী। সামাজিক নীতিবাক্যে নারীদের জন্য যত ‘নিষেধ’ উপস্থিত, পুরুষদের জন্য শতকরা একভাগ নিষেধও সে তুলনায় নেই। হাসি দিয়ে কথা বলা নিষেধ, একা ভ্রমণ করা নিষেধ ইত্যকার নিষেধের লালবৃত্ত দিয়ে প্রবাসী নারী সুমনার বন্দী সংসার জীবন। প্রবাস জীবনে স্বেচ্ছায় নিজেকে শৃঙ্খলে আবদ্ধ করেছে সুমনা। প্রবাসে নারী ও তার ষংসার জীবন আধুনিক ও উন্নত ভেবে নেয়া হলেও আসলে মুদ্রার ওপিঠে থাকতে পারে পুরুষ নিগৃহীত সাংসারিক আদিম বচনগুলোর প্রহার। অশ্লীল বচনের আভিধানিক শৃঙ্খল থেকে সুমনা তার প্রবাস জীবনকে আরেপা সুখি করতে চায় কিন্তু পারে না। পারে না দুর্নামের ভয়ে। কারণ মেয়েরা ঘর থেকে বের হয়ে গেলেই নাকি দুর্নাম হয়। আর এই দুর্নামের যে কালিটি তার মুখে পড়বে, সামাজিক কোন সাবান সেটা ধুয়ে দিবে না। এসব ভেবেই সুমনা তার প্রবাস জীবনকে স্বেচ্ছা বন্দী করে রেখেছে।