’কত কথা তারে ছিল বলিতে চোখে চোখে দেখা হল পথ চলিতে।….’ সে এল ‘নিঃশব্দ চরণে’। তখন হৃদয় জুড়ে কেবল
‘ভালোবাসি, ভালোবাসি- এই সুরে কাছে ছূরে জলে স্থলে বাজায় বাঁশি।….’
প্রেম। এমনি করেই আসে। কখন যে চোখের তারায় মিশে যায় হৃদয়ের ভাষা, বেজে ওঠে সুর,‘কেউ তা জানে না।’ বয়েস, পরিবেশ, সামাজিক অবস্থা সব ছাপিয়ে দিনবাত শুধু আকাশকুসুমচয়ন। প্রেমের উপন্যাসও ঠিক তেমনই পাঠককে নিয়ে যায় এক অপূর্ব অনুভূতি আ শিহরণের জগতে।
মানবজীবনের এই চিরায়ত অনুভবকেই লেখক সারা জীবন করেছেন অন্বেষণ। তাঁর উপন্যাসে তাই উঠে এসেছেন নানা বয়েস, নানারঙের মানব-মানবী। পটভূমি কখনও কলকাতা বা বোম্বে, কখনও বা শৈলশহর অথবা শিল্পনগরী। এই বইয়ের ‘পাঁচটি প্রেমের উপন্যাস’ ‘মানসপ্রিয়া’, ‘ধরণীর এক কোণে’, ‘পূর্ণগ্রাস’, ‘দুদিনের অতিথি’ এবং ‘অধিকার’ পাঠককে আবিষ্ট করে নিয়ে যায় সেই কাঙ্খিত তীব্র বাসনার জগতে।