“হিন্দুতীর্থ কাশী বারাণসী” বইয়ের ফ্ল্যাপের লেখা:
কাশী হিন্দুর প্রাচীনতম তীর্থ দুই নদী বরুণা ও অসির সঙ্গে গঙ্গার মিলনক্ষেত্রের মধ্যবর্তী অঞ্চল বলে এই নাম—বারাণসী। অভিধানকার বলেন, বরণা সর্বপাপ নিবারণ করে বলে এই নাম, নাশ করে বলে নাশী। নাশী পরেনশী—সেখান থেকে অসি।নাম যাই হােক, বারাণসী বা কাশী সনাতন ধর্মবিশ্বাস, বৈষ্ণব, বৌদ্ধ সকল বিশ্বাসী মানুষের পুণ্যক্ষেত্র। কোনাে নতুন ধর্ম বা মতবাদ প্রতিষ্ঠা করতে হলে, কাশীতে বিচারসভা বসাতে হয়। বিশ্বাসীরা মনে করেন, কাশী বা বারাণসীতে মৃত্যু হলে পুনর্জন্ম নিবারিত হয়। আচার্য সুনীতিকুমার চট্টোপাধ্যায় বলতেন—কাশী হচ্ছে পৃথিবীর প্রাচীনতম জীবিত শহর। এর অসংখ্য গলিই একে জীবিত করে রেখেছে। ভারতচন্দ্র লিখেছেন, কাশী মহাদেবের ত্রিশূলের উপর অবস্থিত। লেখক অরুণ মুখােপাধ্যায় এই গ্রন্থে কাশীর নানা বিবরণ, বিপুল তথ্য ও ইতিহাস বহু পরিশ্রমে একত্র ধরে দিয়েছেন। বহু চিত্র-সমন্বিত এই গ্রন্থটিকে কাশী-কোষ বললেও অত্যুক্তি হবেনা।