“ছায়ারজনী” বইয়ের ফ্ল্যাপের লেখা:
অশুভ তাড়নায় নিখাদ প্রেমের বিয়োগান্ত পরিণতির জের ধরে রাতের অন্ধকারে গ্রাম ছাড়তে হয় দুলালকে। অজগাঁ থেকে অচেনা শহরের আবর্তে। কিন্তু মৃত শিউলী স্মৃতি হয়ে নয়, বারবার ফিরে আসে দুলালের কাছে। সজীব ছায়ার আঙ্গিকে। দুলাল যন্ত্রচালিত হয়ে এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায়, এক কাজ থেকে অন্য কাজের ঘোর চক্করের এক বাঁকে প্রশ্রয় পায় বর্ষীয়ান কৈলাশ পন্ডিতের। তিনি মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি বিজড়িত স্থানীয় স্কুলের আদর্শ শিক্ষক। তাঁর জীবনেও একদিন সন্তান সম্ভবা ফুলেশ্বরী এসেছিল। তাকেও ছেড়ে যেতে হয় পৃথিবীর মায়া। শিক্ষকতা থেকে দুলাল ঢাকায় এক পত্রিকায় চাকরি নিয়ে মুখ গুঁজে দেয় তাতে। সেখানে নানা মুখ নানা জনের মধ্যে পরিচয় হয় খেয়ালি ফটোজার্নালিস্ট আফসানার সাথে। ওদিকে সন্তান কোলে সদ্য স্বামীহারা জোৎস্না রাতের শেষ প্রহরে দুলালের সামনে দাঁড়িয়ে যায় যেমন একদিন দাঁড়িয়ে ছিল শিউলী। বেপরোয়া ব্যস্ততার ইট পাটকেলের ঢাকা শহর। ছেড়ে তারা পালিয়ে যেতে চায়। কথাসাহিত্যিক রেজাউর রহমান কয়েক যুগ ধরে বিরামহীন লিখে চলেছেন। সাফল্য-প্রশংসা কুড়িয়ে লেখক এই উপন্যাসে গ্রাম শহরের ভিন্ন মেজাজের, অন্য স্বাদের এক অপূর্ব চিত্র তুলে ধরেছেন। যা স্বভাবতই আমাদের কথাসাহিত্যে অনন্য এক সংযোজন হিসেবে পাঠক সমাদৃত হবে বলে আমাদের দৃঢ় বিশ্বাস।