“রমণীরতন” বইয়ের ফ্ল্যাপের লেখা:
যাত্রায় নারী চরিত্রে অভিনয় করতেন রতনকুমার লাহিড়ি। রতনরানি’ বাংলা রঙ্গমঞ্চে তিনিই শেষ ‘পুরুষ-রানি’। সেকালের এই অভিনেতার জীবন নিয়ে ছবি বানান একালের এক বিখ্যাত পরিচালক। সেই সুবাদে প্রবীণ রতনের সঙ্গে নবীন টিভি সাংবাদিক সম্পূর্ণা-র আলাপ হয়। একসময় টিভি সিরিয়ালের অভিনেত্রী সম্পূর্ণা গ্ল্যামারের জগৎ ছেড়ে এখন সাংবাদিকতায় সম্পূর্ণার মা শ্রাবণীও পেশাদার অভিনেত্রী। পাড়ার শখের থিয়েটার, অফিস-ক্লাবের নাটকে ‘ভাড়াটে ফিমেল’ এখন সিনেমা-সিরিয়ালের পার্শ্বচরিত্রে আর আছেন সতীরানি দাস মহাপাত্র। পালাগানের জনপ্রিয় শিল্পী ঘটনা পরম্পরা একদিন মুখােমুখি দাড় করিয়ে দেয় রতনরানি, সম্পূর্ণা, শ্রাবণী আর সতীরানিকে। ওঁরা আবিষ্কার করেন, ওঁদের জীবন পরস্পরের থেকে যতটা আলাদা, ঠিক ততটাই ওঁরা একে অন্যের পরিপূরক। বিনােদনের নির্দিষ্ট চারটি ধারার এই চার শিল্পীর জীবনের ঝরাফুল যেন একটি সুতােতেই গাঁথা। সে আমলের যাত্রা থেকে এখনকার সিনেমা-সিরিয়ালের হাসি-কান্না— বিরাট এই উপন্যাসের ব্যাপ্তি।