“মাটির পিঞ্জিরার মাঝে” বইটির ফ্ল্যাপ এর লেখাঃ
বাইরে তুমুল বৃষ্টি। চারদিক ভেসে যাচ্ছে। হঠাৎ ঝাপটায় পুরানাে জানালার একটি। কপাট খুলে গেল । বাবা সেটি বন্ধ করতে এগিয়ে গেলেন। আমার তখন তার কোমরের সমান উচ্চতা। কোন রকমে উঁকি দিয়ে দেখি, একটি কুকুর বৃষ্টির তােড় এড়ানাের জন্য এক চিলতে বারান্দায় আশ্রয় নিয়েছে। সে তিরতির করে কাঁপছে। জানালা বন্ধ করতে করতে বাবা বললেন, ‘বাদলা বেটা, মানুষের সবচেয়ে বড় সৌভাগ্য কী জানিস? ‘না, বাবা? ‘মানুষের সবচেয়ে বড় সৌভাগ্য হচ্ছে, পরম করুণাময় ইচ্ছে করলে তাদের কুকুর-বেড়াল করে পৃথিবীতে পাঠাতে পারতেন। কিন্তু তিনি তা না করে তাদের ‘মানুষ হিসেবে দুনিয়ায় পাঠিয়েছেন। বৃষ্টির ছাটে বাবার মুখ ভিজে গেছে। তিনি দু-হাতে তা মুছতে মুছতে বললেন, আর মানুষের সবচেয়ে বড় দুর্ভাগ্য কী জানিস? না, বাবা? ‘সবচেয়ে বড় দুর্ভাগ্য হলাে, মানুষ হয়ে জন্মানাের পরেও তারা মাঝে মাঝে কুকুর-বেড়াল হয়ে যায়।’ মানুষের এ সৌভাগ্য এবং দুর্ভাগ্য নিয়েই মাটির পিঞ্জিরার মাঝের গল্পগুলাে লেখা।