“এক শিশি আতর” বইয়ের ফ্ল্যাপের লেখা:
লােকটির কথা শুনে আশিকের কেমন যেন লাগছে। কিছুক্ষণ আগেও লােকটি ছিল না। তাহলে লােকটি কে? লােকটি আবারও আশিকের পাশে বসলাে। সে কাঁপা কাঁপা গলায় বলল, “আমি তাে আপনাকে গাড়িতে দেখতে পাই নাই। ‘আমি পিছনেই ছিলাম।’ আশিক আবারও আতরের গন্ধ পাচ্ছে। ভয়ে তার হার্টবিট বেড়ে যাচ্ছে। লােকটি আশিককে বলে উঠলাে, ভাই, আতর দিবেন? দামী আতর। মক্কার আতর। বড়ই পবিত্র জিনিস। ‘আমি আতর দেই না। ‘আরে ভাই, এটি সাধারণ আতর না।’ আশিক বলল, আমি একটি বিয়ে বাড়িতে যাচ্ছি। আতর দেয়া ঠিক হবে না।’ ‘এটি সাধারণ আতর না।’ ‘তা বুঝতে পেরেছি।’ ‘আপনি কখনাে আতর দেন নাই? আশিক বলল, ‘ছােট বেলায় প্রতি শুক্রবার দাদার সাথে জুমার নামাজ পড়তে যেতাম। তখন আতর দিতাম। দাদা মারা গেছেন দশ বছর আগে। তারপর আর আতর দেই নি। তাছাড়া আমার মা আতরের গন্ধ পছন্দ করেন না। ‘কি বলেন! আতর সব মুসলিমই পছন্দ করে। ‘আমার মা একজন হিন্দু। হিন্দু ধর্মে আতরের ব্যবহার নাই…