সুবোধ এটি একটি উপন্যাস বলা যায়। এই বইয়ে আছে ‘সুবোধ’ নামের এমন একজন ছেলের গল্প যাকে তার বাবা মহামানব বানাতে চেয়েছিলেন। মানুষের ছেলেপেলে ডাক্তার হয়, ইঞ্জিনিয়ার হয়, ব্যবসায়ী হয়, চোর হয়, ডাকাত হয়; সুবোধের বাবা চেয়েছিলেন তার ছেলে মহামানব হবে। তিনি তার ছেলেকে মহামানব বানাতে, ছেলের ওপর বিভিন্ন গবেষণা চালিয়েছেন। কিন্তু বাবার মৃত্যুর পর ছেলে সত্যিকার মহাপুরুষের সন্ধান লাভ করে। তার কাছে প্রেরিত দ্বীন এর সন্ধান লাভ করে। এবং তখন থেকে সুবোধ হয়ে যায় আব্দুল্লাহ। আর ঠিক সেই মূহুর্ত থেকে সুবোধের গল্প শুরু হয়। কারাগারে সুবোধ একটা সবুজ পাহাড়। সেই পাহাড়ের চুড়ায় দাঁড়িয়ে পাখি হয়ে উড়ে যাবার, সবুজ স্বপ্ন। সুবোধকে এই স্বপ্ন তাড়িয়ে বেড়ায় সব সময়। সুবোধ হতে চেয়েছিল মহাপুরুষ। বিশ্বাসের অসামান্য ক্ষমতা তাকে বানিয়ে দিয়েছে আব্দুল্লাহ। সুবোধ নামের এই আব্দুল্লাহদের বিশ্বাসের শক্তি অনুপ্রাণিত করে অসংখ্য যুবক, , বৃদ্ধ, তরুণ, কিশোর-কিশোরিদের। এই শক্তিই আবার ভয়ের কারন হয়ে দাঁড়ায় বিশেষ কিছু মহলের। তারা সুবোধকে আটকে রাখতে চায়। বন্ধ করে দিতে চায় সুবোধ এর মুখ। কারাগারের অন্ধকার প্রকোষ্ঠে চিরদিনের জন্যে ফেলে রাখতে চায় তাকে। কিন্তু চাইলেই কী সুবোধদের করে রাখা যায়। যেই সুবোধ আব্দুল্লাহ হয়ে গেছে, কারাগারের চার দেয়াল কী তাকে কখনও আটকে রাখতে পারে…। কারাগারে বন্দী সুবোধরা মুক্ত সুবোধদের থেকে অনেক বেশি শক্তিশালী।