“মেঘ অরণ্য” বইয়ের পিছনের ফ্ল্যাপ থেকে নেওয়া
জীবনের ভেতরে, মুখােশের আড়ালে কিংবা লােকারণ্যে যে চরিত্রগুলাে আমরা সচরাচর দেখতে পাই ‘মেঘ অরণ্য’ এর গল্পগুলােতে সেসব চরিত্রগুলােই পুরােপুরি অন্যভাবে উপস্থাপন করেছেন লেখক। প্রতিটি গল্পের চরিত্রগুলাে মনােস্তাত্ত্বিকভাবে ঘটনার মাঝখানে আটকে পড়া কাহিনীর নায়ক নায়িকা। দুটো পাহাড়ের মাঝখানের উপত্যকা কারাে চোখে পড়ে না অথচ অবিশ্বাস্য সৌন্দর্য নিয়ে তা বিশেষ কারাে জন্য যেন অপেক্ষা করে। তুহিন রহমানের গল্পগুলাে তেমনই; পুস্পিত পল্লবের মতাে কোমল অথচ একক চাকচিক্যে বিদ্যমান।
প্রতিটি গল্পের শেষে আপনি থমকে যাবেন, পরের ঘটনা মেলাতে চেষ্টা করবেন, পারবেন না। প্রচলিত অর্থে গল্পের নির্দিষ্ট পথের বাইরে বিচরণ করতে পছন্দ করেন লেখক। আর তাই গল্প পড়ার শেষে একটা ঘােরের ভেতর ডুবে যান পাঠক। ভাগ্য, প্রেম, মনােস্তাত্বিক আবেগ, আকস্মাৎ ঘটনার মােড়, কষ্ট, দেয়ালের পেছনের না দেখা সৌন্দৰ্য্য সবকিছুই পাঠককে ভাবায়-আচ্ছন্ন করে রাখে পাঠ পরবর্তী অনুভূতিতে। আর এখানেই ‘মেঘ অরণ্য’ এর সার্থকতা।