আমাদের মগজ কামড়ে খাওয়া জন্তুর দলের মতাে ধেয়ে আসা অন্ধকারে, অস্বাভাবিক ঘটনার পরম্পরায়, ঘৃণার বীজের মহীরুহ হয়ে ওঠার ফল হিসেবে রক্তাক্ত হয় সময়। অভাব হয় আলাের, প্রেমে আততায়ী হয়ে ঢুকে পড়ে মরুভূমির শুষ্কতা। ক্রমশ ক্ষয়ে যেতে থাকা সময়ে আমাদের মনে হয়; তৃপ্তির মন্ত্র লুকানাে আছে স্বেচ্ছামরণে। কখনাে ঘটে এর উল্টোটাও। অসহ্য সুন্দরকে ধারণ করতে না পারার ব্যর্থতায় অক্ষম আক্রোশে আমরা পুড়িয়ে দিই মায়া, প্রেম, স্নেহ। বলা যেতে পারে, এসব অনুভূতির শেষ সমাধানের নাম মৃত্যু। আমার বারােটি মৃত্যুবিষয়ক অতিপ্রাকৃত গল্প এই যুথচারী আঁধারের গল্প। এখানে মৃত্যুর মতাে সহজসত্য কিংবা হত্যা বা আত্মহত্যার মতাে অস্বাভাবিক ঘটনাগুলাের কোনাে রগরগে বর্ণনা নেই; নেই বিশেষ কোনাে চমকও। আছে অসরলরৈখিক চিন্তার পেছনের স্মৃতি বা বিস্মৃতি। আমরা সবাই বুকের ভেতর যতন। করে পুষে রাখি অন্ধকারের হরেক রং নিঃসঙ্গতার প্রণয়পাশে কাল কাটাই একান্ত । নিজের ভেতরে অসহনীয় ঘৃণা আর রক্তাক্ত আত্মার বিকৃত কান্নার প্রকাশহীন অভিব্যক্তিতে যে সকল মানুষ চারপাশে ঘুরে বেড়ায়, দ্বিধা আর সংশয়ে কাল কাটায়, আমার গল্পের চরিত্র তারা। হতে পারে সে মানুষটি আমি বা আপনি। যূথচারী আঁধারের গল্পের পাঠচিত্রে চলুন খুঁজে দেখি আপন আঁধারের ছায়াচিত্র।