“উল্টো স্রোতের পাক” বইয়ের ফ্ল্যাপে লিখা
শিমু মনে মনে হাসে। একবার ভাবে, সরাসরি বলবে কিনা, আমি শিমু-আমি ভুল করেছি। আমি আপনাকে ভালােবাসি। আপনাকে ছাড়া আর কিছু ভাবতে পারছি না। আবার ভাবে, সেটা কি কোনােভাবে সঙ্গত হবে? বরং যা হলাে সেটাই অনেক সঙ্গত। বাসায় ফিরে রিমুকে শিমু বলে,
‘তারপর কী সিদ্ধান্ত নিলি?’
‘কোন ব্যাপারে?’
‘তােদের বিয়ের ব্যাপারে। বাবা তাে তােকে স্বাধীনতা দিয়ে দিয়েছে।’
রিমু দীর্ঘশ্বাস ফেলে বলে, “হ্যা বাবা অনেক। স্বাধীনতা দিয়েছে। শুধু আজ না। শুরু থেকেই অনেক স্বাধীনতা দিয়ে রেখেছেন আমাদের। আমরা যা ইচ্ছে তাই করতে পারি। কেউ বাধা দেবার নেই। কিন্তু বাবার এত এত স্বাধীনতা পেয়ে আমি আজ সত্যি পরাধীন। কিংকর্তব্যবিমূঢ়। তুই কী ভাবিস, আমার নিজের সুখের জন্য বাবা-মায়ের দেওয়া উদার স্বাধীনতাকে আমি তুচ্ছ-তাচ্ছিল্যভাবে উড়িয়ে দেব?”
শিমু দুখী দুখী মুখে রিমুর দিকে তাকিয়ে রিমুকে সমর্থন করে। ভেতরটা কিন্তু আনন্দের প্লাবন কুলকুল করে স্রোতের পাকে ঘুরছে।