“করুণাহীন করোনার দিন” বইয়ের ফ্ল্যাপে লিখা
আজাদ ভার্সিটি পড়ুয়া এক স্বাপ্নিক তরুণ। ফোর্থ ইয়ারে পড়ে ছেলেটি। ছােট্ট একটা স্বপ্ন ছিল তার। অনার্সটা শেষ করে একটা চাকরি পাবে সে। চাকরি পেয়ে বদলে দেবে বাবার করুণ-জীবন। মার্চের সতেরাে তারিখ থেকে ভার্সিটি বন্ধ হয়ে গেল ওর। একে-একে বন্ধ হয়ে গেল ওর টিউশনগুলিও। আজাদের মা নেই। বাবা বেসরকারি স্কুলের অবসরপ্রাপ্ত দফতরি। সংসার চলে কি চলে না। আজাদের বড়াে দু-ভাই বিয়ে-থা করে পৃথক। একটি বােন আছে ওর। নাম মহুয়া। টিউশনি করতে গিয়ে আজাদ সম্পর্কে জড়ায় কিশােরী একটি মেয়ের সাথে। মেয়েটির নাম তাসমিম। তাসমিম দেখতে ভারি মিষ্টি। উচ্ছল, দুরন্ত, চটপটেও সে। গল্প-কথক আজাদের সহজ-সরল বর্ণনায় ফুটে উঠেছে- করােনাকালীন এদেশের রুঢ় বাস্তবতা। সামাজিক কুসংস্কার ও অজ্ঞতাও। আজাদ-তাসমিম কিংবা আজাদের ছােটো বােন আষ্টাদশী মহুয়ার জীবনে কী ঘটেছিল- জানতে হলে উপন্যাসটি পড়তে হবে আগাগােড়া। উপন্যাসটি শুরু করতেই যা সমস্যা- শেষ হবে পাঠকের বুঝে উঠাবার আগেই।