‘অপন্যাস’ যে কারণে… যে সমাজে নীতি-নৈতিকতা মুখ থুবড়ে পড়ে, অপনীতি সেখানে মাথা চাড়া দিয়ে উঠে। কৌশল অপকৌশল হয়। রাজনীতি অপরাজনীতি। কর্ম অপকর্ম হয়। মানিগুণী মানুষগুলো নীরবে নিভৃতে অপমানিত হয়। বদলে যায় সমাজের গল্প। উপন্যাসও অপন্যাস হয়ে যায়। সর্বত্র শুধু ‘অপ’ চর্চিত হয়। শুরু হয় এক ভিন্নধাঁচের গল্প। ‘অপন্যাস’ মূলত সেই উৎকট, পঁচা গলা, নোংরা জীবনের গল্প বলতেই এসেছে। চারপাশের বৈচিত্র্যময় জীবন জগত, যৌনতা, মানুষের বিকৃত মন ও মননের বিস্তৃত গল্প নিয়ে-অপন্যাস। অপন্যাস’র ফ্ল্যাপ থেকে… মাঝরাত্রির নির্জন আঁধারে নদীর তীর ঘেঁষে তিনজন যুবতী নারী জড়সড়ভাবে বসে আছে। শীতে জবুথবু। প্রচণ্ড শীতে দেহের উষ্ণতা পরস্পরে ভাগাভাগি করে নিচ্ছে। কেউ কাউকে কিছুই বলতে পারছে না; ভেবেই যাচ্ছে শুধু। ঠক ঠক করে কাঁপছে। পায়ের নিচে শুকনো বালিতে শিশির পড়ে জমা হচ্ছে। চোখে মুখে অনবরত ফুঁ দিচ্ছে উত্তরের হিমশীতল ঠান্ডা বাতাস। ঝাপসা নদীর জল, ঝাপসা চারপাশ- ঝাপসা ওদের অনাগত ভবিষ্যত।