…খাবার শেষ করে রিনির রুমের বারান্দায় গিয়ে একটা সিগারেট ধরালাম। বাইরে রাতের আলো—অঁাধারের হল্লা। আনমনে সিগারেট টানছি আর বিক্ষিপ্ত ভাবনায় ভেতরটা তোলপাড় হচ্ছে। লিথি কল দিচ্ছে মোবাইলে। ইচ্ছে করছে ফোনটা রিসিভ করে তাকে বলি, অপেক্ষা করো, একটা ট্যাক্সি নিয়ে আধ ঘণ্টার ভেতর আসছি। কিন্তু কী লাভ শেষপর্যন্ত? লাভ একটাই— যে—কোনো পরকীয়া প্রেমের অনিবার্য পরিণতি খুনখারাবি। হয়তো লিথির জন্য আমি তার স্বামীকে খুন করব— নয়তো আমাকে আরো বেশি নিজের মতো করে পেতে লিথি নিজেই তার স্বামীকে খুন করে ফেলবে। কিংবা এমনও তো হতে পারে লিথিই খুন হয়ে গেল! আমার হাতের সিগারেট শেষ। খালা তাঁর ঘরের বাতি নিভিয়ে শুয়ে পড়েছেন। চারপাশে গাঢ় অন্ধকার। বিড়বিড় করে বললাম, থাকে শুধু অন্ধকার, মুখোমুখি বসিবার! কিন্তু কাকে নিয়ে এরকম অন্ধকারে মুখোমুখি বসব! শেষ পর্যন্ত তো প্রতিটা মানুষই একা, নি:সঙ্গ এবং জমাট দু:খের এক ভারী পাথর! বিষন্ন রাতের মুখের দিকে তাকাই! আনমনে ভাবি, কে আছে আমার? কেউই তো নেই! থাকার মধ্যে আছে কেবলই একরাশ অন্ধকার! আহা, থাকে শুধু অন্ধকার!