মানুষ সমাজকে বদলায়; সমাজ মানুষকে নয়। সমাজ টিকে থাকে সৃজনশীল মানুষের ভালো কর্মের দ্বারা। যে সমাজে ভালোমানুষ অনুপস্থিত সেই সমাজের ভিত্তি মজবুত হয় না। সমাজের দীর্ঘ স্থির অবস্থার জন্য লেখক অশিক্ষাকেই দায়ী করেছেন। তিনি গভীর অনুধ্যান করে দেখেছেন দেশের অধিকাংশ শিক্ষার্থী উচ্চশিক্ষা গ্রহণের আগেই ঝরে পড়ে। আর তা কলেজ পর্যায়ে বেশি।প্রতিভাবান লেখক তাই আঠারো বছর বয়সকেই ভয়ংকর বলে চিহ্নিত করেছেন। এ সময় আবেগ,আনন্দ,উচ্ছ্বাসে বেপরোয়া মন নানাদিকে ছুটতে থাকে।প্রেমাকাঙ্ক্ষা থাকে তীব্র আর প্রখর। প্রেম,পাওয়া-না পাওয়ার দ্বন্দ্ব,মারামারি,মাদকাসক্তি ও অসৎ সঙ্গ এ বয়সের শিক্ষার্থীদের জীবন দুর্বিষহ করে তোলে। তাই এ সময় মা- বাবা,শিক্ষক,বন্ধুবান্ধব পাশে থেকে সচেতন ভূমিকা পালন করলে জীবনে কেউ কেউ ঘুরে দাঁড়াতে পারে। তাই অভিভাবকের চেতনায় আঘাত করে সচেতনতা বৃদ্ধিই উপন্যাস রচনার মূল উদ্দেশ্য।