‘মনোবিকলনগল্প’ কবিতার মতো ক্রমশ এমন এক মিথ্যার জগৎ সৃজন করে চলে যা পক্ষান্তরে সত্যের ইশারাকে জাগিয়ে তুলতে প্ররোচিত করে। এগুলো এমনই এক জাদুবিদ্যা, যা মগজের কিয়দংশের ভেতর সৃষ্টি করে হাজার ঝালরবিশিষ্ট জানালা; যে জানালা দিয়ে কোটি বছর ধরে কোটি সৌরবছর অতিক্রম করে আসা মহাজাগতিক রশ্মি প্রবেশের সুযোগ লাভ করে। আর এভাবেই আপনার মগজ যখন আলোকপ্রাপ্ত হয়ে উঠতে থাকে তখন আপনি হয়ে ওঠেন ত্রিকালদ্রষ্টা; স্বয়ং টিরোসিয়াস।
শিমুল মাহমুদ অধিকাংশ ক্ষেত্রেই গল্পের প্রচল কাঠামো অনুসরণ করেননি। বরং স্মৃতিকথা, কবিতা আর মুক্তগদ্যের মিলমিশ; পক্ষান্তরে যা আপনার চৈতন্যকে উত্তেজিত করবে; হয়তো-বা আপনাকে ঠেলে দিবে মনোবিকলনের দিকে। এমনতর মনোবিকলনের ফলে শিমুল মাহমুদ জেনে বুঝেই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তিনি আর গল্প লিখবেন না। অতএব এটি তাঁর চতুর্থ গল্পগ্রন্থ হওয়া সত্ত্বেও মূলত গল্পের বই হিসেবে শেষ পুস্তক।