আজ থেকে প্রায় চল্লিশ-পঞ্চাশ বছর আগের ঘটনা। কারো আর সবকিছু ভালো করে মনে নেই। দেশটা তখন কেবল স্বাধীন হয়েছে। চতুর্দিকে আনন্দ, অস্থিরতা, ভয়, বেদনা, আবার যুদ্ধ জয়ের উল্লাস। দেশ কিভাবে স্বাধীন হয়েছে, মুক্তিবাহিনী বা পাকবাহিনী কে কোথায় কি করেছে, সবাই ঠিক মতো জানতো না। সেই সময় বাংলাদেশের উত্তরাঞ্চলের এক গহিন গ্রামে একটি গির্জা বানিয়ে একজন ইতালিয়ান পাদরি প্রায় ২০ বছর ধরে ধর্মপ্রচার করতেন। স্থানীয় সাঁওতাল পল্লীতে ধর্ম প্রচার করতে গিয়ে তিনি এক সাঁওতাল যুবক ও তার ছোট বোনকে দপ্তক নিয়েছিলেন। একাত্তরের উত্তাল দিনগুলোতে তার সঙ্গে মুক্তিবাহিনীর যেমন সম্পর্ক ছিল, তেমনি দেশের অন্যপন্থি দলগুলোর সঙ্গেও ছিল সখ্য। সবাইকে তিনি যীশুর জয়গান শোনাতে চাইতেন। কিন্তু যুদ্ধ শেষে একদিন রিনি দেখলেন সেই সাঁওতাল এলাকায় একজন মহিলার প্রানহীন দেহ পড়ে রয়েছে। সেই সময়ের অনেক হত্যাকান্ডের মতো, এ ঘটনারও কোনো তদন্ত হয়নি। ফাদার এই হত্যাকান্ডের জন্য অত্যান্ত ব্যাথিত হয়েছিলেন। তিনি এখনো অপেক্ষা করছেন এই রহস্যের জট খোলার জন্য।