সুস্মিতা গল্পের মানুষ। সমাজের নানা বিষয়কে উপজীব্য করে গল্প লেখেন বলেই তাঁর প্রতিটি গল্প স্বকীয় বৈশিষ্ট্যে উজ্জ্বল। প্রতিটি গল্পের স্বাদ ও ভিন্ন রকমের। ‘টেবিল নম্বর ১৭’ বইটিতেও সামাজিক প্রেক্ষাপটকে ভিত্তি ধরে প্রেম, হরর, থ্রিলার, ভৌতিক, শিশুতোষ, ফ্যান্টাসি- এমন বিভিন্ন বিষয়ের সন্নিবেশ ঘটানো হয়েছে ১৭টি গল্পের মাধ্যমে। ‘টি ট্রলি’, ‘অপারেশ স্যার’, ‘স্বপ্ন ভয়ংকর’, ‘রাত্রি আতঙ্কের’ এবং ‘খোঁজ’ গল্পগুলোতে যেরকম একই সাথে ফুটে উঠেছে হরর, সাইকোলজিক্যাল থ্রিলার কিংবা ভৌতিক আবহের অদ্ভূতুড়ে ছটা; তেমনি ‘ফেরা’ আর ‘রেহানের সাথে একদিন’ গল্পে মিশে আছে ফ্যান্টাসি। প্রেম কিংবা বিরহের আবেশ পাওয়া যায় ‘টেবিল নম্বর ১৭’, ‘আজব ভালোবাসা’, ‘পরকীয়া’ এবং ‘নিষ্প্রাণ অপেক্ষা’ গল্পে। অনুভূতির বাস্তব মিশেল যেন এক অব্যক্ত কথামালার সৃষ্টি করেছে ‘বাকের ভাই’, ‘কোকো’, ‘মেহমান’ ও ‘কিছু বলতে চাই’ গল্পগুলোতে। চিকিৎসক জীবনের অনেক না বলা কথাও অত্যন্ত দক্ষতার সাথে আবেগের মধ্য দিয়ে প্রস্ফুটিত হয়েছে ‘কসাই ডাক্তার’ এবং ‘কাচের ওপাশে’ গল্পে। কোন নির্দিষ্ট বিষয় বা কাহিনীতে সীমাবদ্ধ নয়। বরং হরেক রকম অনুভূতির সমন্বয়ে রচিত ‘টেবিল নম্বর ১৭’।