১. যুগে যুগে সমাজপতিরা খেটে খাওয়া অসহায় মানুষদের উপর নির্যাতন-নিপীড়ন চালিয়ে গেছে। ওদের বাধা দেওয়ার কেউ ছিল না। তারা তাদের শোষণের হাতিয়ার হিসেবে ধর্মকে ব্যবহার করেছে নির্বিচারে। নিজের হীন স্বার্থ চরিতার্থের জন্য ধর্মীয় বিভিন্ন অনুশাসনের অপব্যাখ্যা দাঁড় করিয়েছে অবলীলায়। এগুলো তো আমরা জানি। কিন্তু, এই বিষয়টি এমন সাহসী উচ্চারণে উত্থাপনের নজির বাংলা সাহিত্যে খুব একটা বেশি নেই। এই জায়গাটিতে সৈয়দ ওয়ালীউল্লাহ এবং গৌরকিশোর ঘোষের পরে এই ঔপন্যাসিকের নামটিও একদিন ইতিহাসে উল্লিখিত হবে বলে আমার বিশ্বাস। ২. উপন্যাসের নিপুণ ভাষাশৈলী একজন মনোযোগী পাঠককে ক্ষণেক্ষণে মুগ্ধ করবে। ৩. ‘নক্ষত্রডোবা রাত’ প্রকৃতিগতভাবে গ্রিক ট্র্যাজেডির সমকক্ষ তবে এর প্রক্রিয়াটি শেকসপিরিয়ান। বাংলাসাহিত্যে ইডিপাস কমপ্লেক্সের এমন সংঘাতময় রচনা আর দ্বিতীয়টি নেই, একথা হলফ করে বলা যায়। অতএব, এই উপন্যাসটি সত্যিকারের পাঠককে পড়তে হবে। কমলকলি চৌধুরী কবি ও কথাসাহিত্যিক